মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর তোড়জোড়, হিমঘর থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে আলু সরবরাহের সিদ্ধান্ত
বর্তমান | ২৪ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ও সংবাদদাতা তারকেশ্বর: কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার খুচরো বাজারে বিক্রির জন্য হিমঘর থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে জ্যোতি আলু সরবরাহ করবেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার হুগলির হরিপালে জেলার আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকের পর মন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন আলু বাজারে না আসা পর্যন্ত এই দামে খুচরো বাজারে আলু সরবরাহ চালিয়ে যাওয়া হবে বলে ব্যবসায়ীরা কথা দিয়েছেন। খুচরো বাজারে কত দামে আলু বিক্রি হচ্ছে, সেদিকে নজর রাখবে প্রশাসন। বাইরের রাজ্যে আলু পাঠানো বন্ধ করা নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি মন্ত্রী। ব্যবসায়ীদের দাবি, এরকম কোনও নিষোধাজ্ঞার কথা সরকার জানায়নি।
কাল, সোমবার থেকে হিমঘরের আলু ২৬ টাকা কেজি দরে বাজারে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। মঙ্গলবার থেকে তা বাজারে বিক্রি হবে। এখন হিমঘর থেকে ২৭-২৮ টাকা কেজি দরে আলু বের হচ্ছিল। কিন্তু কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার অনেক খুচরো বাজারে ৩৪-৩৫ টাকা দাম নেওয়া হচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে আলুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর শুক্রবার টাস্ক ফোর্সের বৈঠক ডাকেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। ওই বৈঠকে আলু ব্যবসায়ীদের সরকারি তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, অবিলম্বে দাম না কমালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঠিক হয়, শনিবার হরিপালে হুগলি জেলার আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কৃষি বিপণনমন্ত্রী। কারণ, কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার খুচরো বাজারে মূলত হুগলি থেকেই আলু সরবরাহ হয়।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, হিমঘর থেকে ২৬ টাকা দরে আলু পাঠানো হলে অন্যান্য খরচ ধরে তা কলকাতার খুচরো বাজারে ৩০ টাকাতে বিক্রি হওয়া উচিত। পরিবহণ খরচ এবং পাইকারি ও খুচরো বিক্রেতার লাভ ধরে এটা ন্যায্য দাম। খুচরো বিক্রেতারা যাতে বেশি দামে আলু কিনতে হচ্ছে বলে অজুহাত না দিতে পারেন, তার জন্য কেজিতে ২৬ টাকা দাম লেখা চালান সহ আলু পাঠানো হবে বলেও ঠিক হয়েছে। এদিকে, ভিন রাজ্য বিশেষ করে মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান থেকে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ আসার ফলে কলকাতার পাইকারি বাজারে দাম কমেছে। সরকারি টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানিয়েছেন, শনিবার পাইকারি বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে আগামী দিনে দাম আরও কমবে বলেই তাঁর আশা।