সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া : বাংলায় হালকা শীতের আমেজ। জাঁকিয়ে শীত পড়ার অপেক্ষা চলছে। শীতের শুরুতেই ভ্রমণ পিপাসুদের সুখবর পাঠাল হাওড়া জেলার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র গড়চুমুক চিড়িয়াখানা। এই পশুশালায় এল মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার জন্তু ইগুয়ানা। ইগুয়ানা টিকটিকি পরিবারের সদস্য। প্রায় ছ’ফুট দৈর্ঘের ইগুয়ানাও দেখা যায়। এই ইগুয়ানা কলকাতায় আলিপুর চিড়িয়াখানায় ছিল। সেখান থেকেই গড়চুমুক জুওলজিক্যাল পার্কে নিয়ে আসা হয়েছে। পার্কে তাদের জন্য তৈরি হয়েছে এনক্লোজার। শনিবার সেখানে ছাড়া হয়েছে। এদিন এনক্লোজারটির উদ্বোধন করেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। এর পাশাপাশি তিনি বনবিড়ালের আবাসস্থল, আশি মিটার বনপথ সহ একটি প্রশাসনিক দপ্তরেরও উদ্বোধন করেন।
এদিন অনলাইনে টিকিট কেটে জুওলজিক্যাল পার্কে প্রবেশ করেন মন্ত্রী। তারপর পার্ক ঘুরে দেখেন। এরপর তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প। সে কারণে এটিকে আরও নতুনভাবে সাজানোর পরিকল্পনা হচ্ছে। আগামী দিনে আরও ভালো উপহার দিতে পারব।’ পরবর্তীকালে এখানে বাঘ আনারও পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বীরবাহা। এদিন মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জু অথরিটির মেম্বার সেক্রেটারি সৌরভ চৌধুরী, গড়চুমুক জুওলজিক্যাল পার্কের রেঞ্জার তাপস দেব প্রমুখ। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নেকড়ে, হায়না, জংলি কুকুর নিয়ে আসার পরিকল্পনা আছে।
গড়চুমুক জুওলজিক্যাল পার্ক ইতিমধ্যেই রাজ্যের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ চিড়িয়াখানায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে মিনি জু হিসেবে থাকলেও এটিকে স্মল জু হিসেবে উন্নত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই হরিণ, নীলগাই, এমু, পাইথন, বাঘরোল, ম্যাকাও সহ ৫০টিরও বেশি প্রজাতির পাখি রয়েছে। এখানে পশুপাখি সংরক্ষণ ছাড়াও প্রজননের উদ্যোগও নেওয়া হয়। এছাড়াও বার্ষিক কিছু টাকার বিনিময়ে পশু-পাখিদের দত্তক নেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পশু-পাখিকে দত্তক নিয়েছেন অনেকে।