ভিভিআইপিদের সুরক্ষার দিকে নজর রাখতে হবে স্থানীয় থানার ওসিকেই, নির্দেশ সিপির
বর্তমান | ২৪ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পুলিসি নিরাপত্তাপ্রাপ্ত ভিভিআইপি এলাকায় থাকলে তাঁর নিরাপত্তার দিকে এবার নজর রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকেই। শনিবার দুপুরে আলিপুর বডিগার্ড লাইনসে কলকাতা পুলিসের মাসিক ক্রাইম কনফারেন্সে সব থানার ওসিকে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা।
উল্লেখ্য, কসবা-কাণ্ডের পর কলকাতা পুলিস তাদের আভ্যন্তরীণ তদন্তে জানতে পারে, আক্রান্ত তৃণমূল কাউন্সিলার সুশান্ত ঘোষের দুই পিএসও (সরকারি নিরাপত্তা রক্ষী) ঘটনার দিন একসঙ্গে ছুটিতে গিয়েছিলেন। এরপরই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ওই দুই পুলিসকর্মীকে দু’হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে লালবাজার। পাশাপাশি, সুশান্ত ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা দুই থেকে বাড়িয়ে চার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিপি এদিন বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধারে থানার ওসিদের ঝাঁপাতে নির্দেশ দিয়েছেন। সাম্প্রতিক কসবা-কাণ্ডের পর সিপির এই বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। যদিও সিপি এদিনের বৈঠকে কসবার নাম উচ্চারণ করেননি। কিন্তু তাতে বাহিনীর বুঝে নিতে অসুবিধা হয়নি যে কসবা-কাণ্ডের জেরেই সিপির এই আদেশ। পাশাপাশি, সিপি শহরের সব থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন, থানা এলাকায় ভিনরাজ্যের কেউ বাড়ি বা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকলে তাঁর নথিপত্র যাচাই করতে হবে। দরকারে নজরদারি রাখতে হবে। উল্লেখ্য, কসবায় ভিন রাজ্যের শার্প শ্যুটারের গুলি চালানোর চেষ্টার পর শাসক দলের একাংশই এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। সেই প্রেক্ষিতে সিপির এদিনের বক্তব্য আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এদিকে, রাজ্য পুলিসের আইজি (ট্রেনিং) পদে বদলি হওয়ার কারণে গোয়েন্দা প্রধান তথা অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার-২ মুরলীধর শর্মার এটাই ছিল শেষ ক্রাইম কনফারেন্স। লালবাজারের ১৫০ বছরের ইতিহাসে তিনিই সবচেয়ে বেশি সময়, প্রায় চার বছর সাত মাস গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন।