• ফুলবাবুকে নিয়ে ‘পুনর্নির্মাণ’ চায় পুলিস, বিহার যাবেন গোয়েন্দারা
    বর্তমান | ২৪ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কসবায় বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে চান তদন্তকারীরা। বিহারের সমস্তিপুর থেকে ধৃত পাপ্পু চৌধুরি গ্যাংয়ের সদস্য মহম্মদ ফুলবাবুকে দিয়েই পুনর্নির্মাণ পর্ব সারতে চান তদন্তকারীরা। শনিবার আলিপুর আদালতে কড়া পুলিসি নিরাপত্তায় সুশান্ত কাণ্ডের এই ‘মিডলম্যান’কে হাজির করানো হয়। সেখানেই সরকারি কৌঁসুলি সৌরীণ ঘোষাল পুলিসের তরফে ওই আর্জি জানান। পাশাপাশি তিনি ধৃতের জামিনের জোরালো আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘বিহারের বিভিন্ন জেলায় এই অপরাধী বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করার জন্য মিডলম্যান হিসেবে কাজ করত। তার অপরাধের যাবতীয় সুলুক সন্ধান জানতে পুলিস বিহারে যাবে। সেখানকার পুলিসের সঙ্গেও কথা বলবে। তাহলে ধৃত ফুলবাবু সম্পর্কে হয়ত অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। তাতে এই মামলায় আলাদা একটা গতি আসতে পারে।’ বিহার থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে আনা এই কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে দীর্ঘ জেরা করার প্রয়োজন আছে বলে পুলিস ১৪ দিনের হেফাজতের আর্জি জানায়। পাশাপাশি পুলিস এই অভিযুক্তের বয়ানও রেকর্ড করবে বলে আদালত সূত্রের খবর। এদিন এই মামলার শুনানি চলাকালে বিচারক মামলার অগ্রগতি জানতে চান সরকারি কৌঁসুলির সঙ্গে। তখনই তদন্তকারী পুলিস অফিসার মামলার কেস‑ডায়েরি আদালতের কাছে পেশ করেন। বিচারক সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে ধৃত মহম্মদ ফুলবাবুকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিস হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা গোয়েন্দা পুলিস ধৃতের হেফাজত থেকে যে মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে, সেই ফোনের যাবতীয় তথ্য‑প্রমাণ পুলিস সংগ্রহ করবে। তাতে কসবা‑কাণ্ডে ফুলবাবুর সঙ্গে ঘটনার আগে ও পরে কাদের কাদের সঙ্গে কথোপকথন হয়েছিল, সেই প্রমাণও মিলবে। এদিকে, বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচার কারবারেও এই অভিযুক্তের নাম উঠে এসেছে। তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সব মিলিয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে ফুলবাবুর নাম উঠে আসার পরই তাকে হেফাজতে পেতে তৎপর হয়ে ওঠেন গোয়েন্দারা। বিহারে যাওয়ার আগে আলিপুর আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জোগাড় করেছিল কলকাতা পুলিস। এরপর তারা যোগাযোগ করে বিহার পুলিসের সঙ্গে। তার ভিত্তিতেই ফুলবাবুকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছিল পুলিস। 
  • Link to this news (বর্তমান)