• পর্ণশ্রীতে ভাড়াটে উচ্ছেদ করে জমি দখলের অভিযোগ, তুমুল আলোড়ন
    বর্তমান | ২৪ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পর্ণশ্রী এলাকায় ভাড়াকে উচ্ছেদ করে জমি দখলের অভিযোগকে কেন্দ্র করে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। চলতি মাসের ১৭ তারিখে এই ঘটনাটি ঘটেছে পর্ণশ্রী থানার ৭ নম্বর সিদ্ধিনাথ চট্টোপাধ্যায় রোডে। আলোড়নের কারণ, যার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে, তিনি ‘কালীঘাটের কাকু’ বলে পরিচিত সুজয় ভদ্রের শ্যালক সোনা। উচ্ছেদ হওয়া ভাড়াটে সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ,  পর্ণশ্রী থানার পুলিসের উপস্থিতিতে সোনা, চিংড়ি, নাটা সমর, ভুতো, শম্ভু ওরফে ভাইপোরা দলবল নিয়ে এসে সাড়েচার কাঠা জমির দখল নিয়ে নেয়। পাশাপাশি, জমিটি পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। তবে এই অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে সোনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর দাবি, ‘আদালতের নির্দেশে আমরা জমিটি কিনেছি। সমস্ত নথি আমাদের কাছে রয়েছে। গত ২০-৩০ বছর ধরে ওই জমি ফাঁকা পড়েছিল।  যিনি উচ্ছেদের অভিযোগ করছেন, ওই জমিতে তাঁর কোনও অধিকারই নেই।’


    সদ্য উচ্ছেদ হওয়া ভাড়াটে সৌমিত্র  বন্দ্যোপাধ্যায়  বলেন, ‘আমার শ্বশুর মশাই ১৯৫০ সাল থেকে ওই জমিতে ভাড়াটে। তাঁর মৃত্যুর পর  উত্তরাধিকার সূত্রে আমার স্ত্রী মীনাক্ষীদেবী বর্তমান ভাড়াটে। ২০০৭ সাল পর্যন্ত আমরা রিসিভারের কাছে ভাড়া দিয়েছি। সেই নথিও রয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, সেদিন পর্ণশ্রী থানার পুলিস দাঁড়িয়ে থেকে এই উচ্ছেদে সাহায্য করেছেন।’ যদিও এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে ডিসি (সাউথ ওয়েস্ট) রাহুল দে’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও উত্তর পাওয়া যায়নি। 


    উল্লেখ্য, সিদ্ধিনাথ চট্টোপাধ্যায় রোডে রাস্তার দুই ধার মিলিয়ে প্রায় ৪৫-৫০ কাঠার মতো জমিতে একাধিক কারখানা রয়েছে।  বর্তমান বাজার দর অনুসারে ওই তল্লাটে কাঠা পিছু জমির দাম ৫০-৬০ লাখ টাকা। তবে সিংহভাগ জমিতে পুরানো ভাড়াটে রয়েছে। সম্প্রতি এদের উচ্ছেদ করারচেষ্টা শুরু হয়েছে।  স্থানীয় সূত্রে খবর,  সেদিন এই উচ্ছেদে একদম সামনের সারিতে ছিলেন এলাকার কুখ্যাত  অশোক রায় ওরফে চিংড়ি। কে এই চিংড়ি? একদা যিশু-সঙ্গী চিংড়ির বিরুদ্ধে একাধিক খুনের অভিযোগ বিচারাধীন রয়েছে। এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে,  অশোক রায় বলেন, ‘আমি একজন ঠিকাদার মাত্র। যিনি উচ্ছেদের কথা বলছেন, উনি তো জমির কোনও কাগজ দেখাতে পারেননি।’ স্থানীয় কাউন্সিসার অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার মুখেই প্রথম শুনলাম।  এটা পুলিস-প্রশাসনের দেখার  কথা।  এর মধ্যে আমি ঢুকতে চাই না।’
  • Link to this news (বর্তমান)