আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ০.৭ ডিগ্রি কম। শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.২ ডিগ্রি কম। কলকাতার উপকণ্ঠে দমদমে পারদ নেমেছিল ১৬.৬ ডিগ্রিতে। এ ছাড়া, কৃষ্ণনগরে ১৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বর্ধমানে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পানাগড় এবং আসানসোলে ১৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কল্যাণীতে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সিউড়িতে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ব্যারাকপুরে ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল তাপমাত্রা।
রবিবার দার্জিলিঙে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কালিম্পঙের তাপমাত্রা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু ঝাড়গ্রামের তাপমাত্রা তার চেয়েও কম (১৩ ডিগ্রি) ছিল রবিবার সকালে।
রবিবার এবং সোমবার দার্জিলিঙের কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রবিবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে কালিম্পঙেও। উত্তরের বাকি জেলাগুলিতে আপাতত শুকনো আবহাওয়া থাকবে। দক্ষিণবঙ্গেও মূলত শুকনো আবহাওয়ার কথাই জানিয়েছে আলিপুর। কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আগামী পাঁচ দিনে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার খুব বেশি হেরফের হবে না। নতুন করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই।
পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে আগামী তিন দিন। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে কুয়াশা থাকতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে। এই জেলাগুলিতে আগামী তিন থেকে চার দিন কুয়াশা নিয়ে বাড়তি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে হাওয়া অফিস।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়ে গিয়েছে শনিবারই। তা ক্রমশ পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার এই নিম্নচাপের শক্তি অনেকটাই বাড়তে পারে, আশঙ্কা হাওয়া অফিসের। তবে নিম্নচাপের অভিমুখ থাকবে শ্রীলঙ্কা এবং তামিলনাড়ুর উপকূল এলাকা। পশ্চিমবঙ্গে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে না। নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় কি না, সে দিকে নজর রেখেছে হাওয়া অফিস।