• ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিগেটে সিকিউরিটি কর্মীর পিটুনিতে মৃত্যু নিমন্ত্রিতের! উঠছে প্রশ্ন...
    ২৪ ঘন্টা | ২৪ নভেম্বর ২০২৪
  • বরুণ সেনগুপ্ত: গণপিটুনি, মব লিঞ্চিং যেন থামছেই না। শুধু গোবলয় নয়, এখন পশ্চিমবঙ্গেও ঘটছে এসব। এবার পিটিয়ে মারার ঘটনা ঘটল ব্যারাকপুর অঞ্চলে। ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে। 

    এখানে রয়েছে এক ফ্যাক্টরি গেট। সেই ফ্যাক্টরির ভেতরে বন্ধুর মেয়ের জন্মদিন খেতে গিয়েছিলেন ইছাপুর আনন্দমঠের বাসিন্দা কৃশানু চ্যাটার্জী। সেখানই, সেই অনুষ্ঠানের পাশে, একটি জায়গায় কয়েকজন বন্ধু মিলে কথা বলছিলেন। ঠিক সেই সময় রাইফেল ফ্যাক্টরির যাঁরা সিকিউরিটি রয়েছেন তাঁরা আসেন এবং প্রত্যেককে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় কৃশানুর।

    আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দুজন। পরিবারের লোকের দাবি, একটি অনুষ্ঠানবাড়িতে তাঁরা গিয়েছিলেন, সেইখানে কীভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সিকিউরিটি এইভাবে তাঁদের মারধর করতে পারেন! উঠছে প্রশ্ন। 

    কদিন আগেই এরাজ্যে গণপিটুনির শিকার হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। গরু চোর সন্দেহে তাঁকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল ফলতা থানার হরিণডাঙা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কোদালিয়া গ্রামে। ঘটনার দিন গভীর রাতে একদল দুষ্কৃতকারী কোদালিয়া গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ পুরকাইতের বাড়ি গরু চুরি করতে আসে। তখনই গ্রামের এক সিভিক পুলিস থানা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। গভীর রাতে গ্রামের মধ্যে গাড়ি-সহ দুষ্কৃতীদের দেখতে পান ওই সিভিক পুলিস। চিৎকার জুড়ে দেন তিনি।

    তাঁর চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা বেরিয়ে আসেন। বাকিরা গাড়িতে চড়ে চম্পট দিলেও একজন ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করে বেধড়ক মারধর করেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছিল ফলতা থানার পুলিস। কোদালিয়া গ্রাম থেকে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে ডায়মন্ডহারবার পুলিস মর্গে ময়নাতদন্তের পাঠানো হয়েছিল।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)