জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: মহারাষ্ট্রের মসনদে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট। কেন ভরাডুরি বিরোধীদের? কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর মতে, 'ইন্ডিয়া জোটের উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মডেলকে কাজে লাগানো'।
ঘটনাটি ঠিক কী? বুথফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছিল। মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটে বিপুল জয় পেল 'মহাজুটি' জোট । ২৮৮ আসনের মধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছে ১৩২ আসন। বাকি দুই শরিক দল শিবসেনার (একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী) ঝুলিতে ৫৭, এনসিপির (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) ৪১। এমনকী, জোটের বাকি দুই শরিক আঞ্চলিক দলও জিতেছেন তিনটি আসনে। সবমিলিয়ে আসন সংখ্যা ২৩৩।
মরাঠাভূমি বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের নেতৃত্বে জোট বেঁধেছিল বিরোধীরা। নাম, 'মহাবিকাশ আঘাড়ী'। সেই জোটের দখলে যখন মাত্র ৪৯ আসন, তখন
ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোটে জিতেছে হেমন্ত সোরেনের জেএমএম নেতৃত্বাধীন জোট। এমনকী, বাংলায় ৬ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনেও ধরাশায়ী গেরুয়াশিবির। কুণালের প্রশ্ন, 'তৃণমূল যদি বাংলায় বিজেপি হারাতে পারে, JMM যদি বিজেপি হারাতে পারে, তাহলে কংগ্রেস কেন পারে না'?
এদিকে বাংলায় বিধানসভা উপনির্বাচনে ফের ভরাডুবি সিপিএমের। স্রেফ ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণ নয়, রীতিমতো গান গেয়ে বামেদেরও কটাক্ষ করেছেন কুণাল। তিনি বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা উপনির্বাচন। ছয়ের মধ্যে ছ'টা তৃণমূল, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উন্নয়নের বিপুল জয়। এবং কুত্সার বিরুদ্ধে মানুষের রায়। গতকালের গান ছিল,তৃণমূল তো জিতেছে, বিজেপি তো হেরেছে। কিন্তু এই যে বড় বড় কথা বলার পর সিপিএম। গতকাল গান ছিল অরিজিত্ সিংয়ের মতো, আর কবে, আর কবে, আর কবে। সিপিএম শূন্য থেকে এক হবে'। এরপরই গান ধরেন, 'মটর কলাই গোল গোল, দাঁতে ভাঙে না। আর সিপিএম শূন্য থেকে একে যায় না'।