জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের উপরে হামলার তদন্তে বেরিয়ে এল নতুন তথ্য। আততায়ীদের সাহায্য করেছিল এক জেল ফেরত অপরাধী। বর্তমানে সে দুবাইতে রয়েছে। নাম আদিল হোসেন। কলকাতায় এসে সব পরিকল্পনা করে সে দুবাই চলে যায়।
পুলিস সূত্রে খবর পুজোর আগে কলকাতায় এসেছিল আদিল হোসেন। তারপর কলকাতা থেকে সে পাসপোর্ট তৈরি করে। তার পরেই সে দুবাই চলে যায়।
কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল গুলজার নামে এক দুষ্কৃতী। তাকে জেরা করে জানা যায় ইকবাল নামে এক ব্যক্তি তাকে সাহায্য করেছিল। সে বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দা। সে তাকে অস্ত্র ও লোকজন জোগান দিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সে জানায় তাকে সাহায্য করেছিল ইকবাল নয়, অন্য একজন।
গুলজার জানায় তাকে অস্ত্র ও লোকের জোগান দিয়েছিল আদিল নামে এক ব্যক্তি। একটি মামলায় সে বেউড় জেলে বন্দি ছিল। সেই আদিলই গুলজারকে অস্ত্র ও বিহার থেকে শ্যুটারদের কলকাতায় পাঠায়। এই আদিলই কলকাতায় এসে সুশান্তকে কীভাবে খুন করা হবে তার একটি পরিকল্পনা করে। এমনকি রেইকিও করে। সেই লক্ষ্যেই সে পুজোর আগে কলকাতায় আসে। কলকাতা থেকে পাসপোর্ট করিয়ে সে দুবাই চলে যায়। গুলজারের কথা মতো খুনের কনট্যাক্ট পায় আদিল।
উল্লেখ্য়, কাউন্সিলর খুনের জন্য বিহার থেকে যে চারজন দুষ্কৃতী এসেছিল তার মধ্যে যুবরাজ নামে একজন ধরা পড়ে যায়। বাকীরা পলাতক। এদের মধ্যে ২ জন বিহারের কুখ্যাত দুষ্কৃতী পাপ্পু চৌধুরীর গ্যাংয়ের সদস্য বলে জানা যাচ্ছে। আরও যেটা জানা যাচ্ছে বেউড় জেলে থাকার সময়ে পাপ্পু চৌধুরীরর গ্যাংয়ের সঙ্গে আদিলের পরিচয় হয়। তদন্তকারীরা এখন যেটা জানার চেষ্টা করছেন পাপ্পু চৌধুরী কী সুশান্ত ঘোষের উপরে হামলার কথা জানতো। পাপ্পু চৌধুরী গুলি খেয়ে বর্তমানে ফেরার।
ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে একের পর এক নতুন তথ্য সামনে আসছে। প্রথমে ইকবালের নাম উঠে এসেছিল। তারপর জানা যায় সে ইকবাল নয় আফরোজ ওরফে গুলজার। গুলজার দাবি করে মুঙ্গেরের ইকবাল নামে এক ব্যক্তি তাকে সাহায্য করেছিল। পরে জানা গেল ইকবাল নামে কোনও ব্যক্তির অস্তিত্বই নেই। পরে জানা গেল হামলাকারীদের মধ্যে রয়েছে পাপ্পু চৌধুরীর গ্যাংয়ের ২ সদস্য।