রবিবার ঘাটালের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে মেলার কমিটি গঠন নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে হাজির হন সাংসদ দেব। তাঁর উপস্থিতিতে তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। অভিযোগ, প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলুই আগেই কমিটি তৈরি করে নিয়েছিলেন। সেই কমিটির মাথায় তিনিই। কিন্তু দেব বৈঠকে যেতেই কমিটি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। সূত্রের খবর, শঙ্করের কমিটি মানতে নারাজ ছিল তৃণমূলের একাংশই। তৃণমূল কর্মীরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু করেন। ভাঙা হয় চেয়ার-টেবিলও।
দেব পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তাতে লাভ হয়নি। পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ায় ঘটনাস্থলে আসে স্থানীয় থানার পুলিশ। তারাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁদের।
শঙ্করের কমিটি তৈরির কথা জানতেন বলে জানান দেব। তিনি বলেন, ‘‘এমন পরিস্থিতি কেন হল, তা বুঝতে পারছি না। আমি স্তম্ভিত। মেলার জন্য এখানে একটা কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে আমাকে প্রথমে ডাকা হয়নি, কিন্তু জানতে পারি এক তরফা বৈঠক করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি গঠনের আগে আমার কাছে অনুমতি নিয়েছিল।’’ তবে রবিবার কেন আবার বৈঠক ডাকা হয়েছিল? ঘাটালের সাংসদ বলেন, ‘‘এক তরফা কমিটি না হয়ে যাতে শঙ্করের মানরক্ষা হয় সেই কারণে আজ দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসার কথা ছিল।’’ পরে ঘাটালের মানুষের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন দেব। তিনি বলেন, ‘‘আমি কথা দিচ্ছি এমন ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না। দেব সাংসদ থাকুক বা না থাকুক।’’
বৈঠকে দুই গোষ্ঠীর কোন্দলকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে মনে মনে করছেন শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘‘এমন হবে ভাবতে পারিনি। পরিকল্পিত ভাবে ঘটানো হয়েছে। আমি মনে করি এটা ষড়যন্ত্র ছিল। জানি না কেন নিজের মধ্যে গন্ডগোল করল।’’ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোলের ঘটনায় বৈঠকই শুরু করা যায়নি। কিছু ক্ষণ পরেই ঘটনাস্থল ছাড়েন দেবও।
রবিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, ‘‘এই মেলা ঘাটালবাসীর কাছে আবেগের। সেটা নিয়ে তৃণমূল রাজনীতি, ব্যবসা করছে। কে তাদের এই সাহস দিয়েছে? কোন অধিকারে করছে? তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই মেলা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতাচ্ছে।’’