সংবাদদাতা, পতিরাম: শুক্রবার রাতে শুরু হয়েছে বোল্লাকালী পুজো। তবে রবিবার ছুটির দিনে ভিড় যেন উপচে পড়ল মেলায়। বোল্লা বাসস্টপ থেকে মন্দির পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তায় জনস্রোত। বিভিন্ন ট্রেন থামতেই হাজার হাজার দর্শনার্থী বোল্লা মন্দিরের দিকে রওনা দিলেন। প্রতিটি ট্রেন থেকে গড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার ভক্ত নেমেছেন বলে পুলিস সূত্রে খবর।
এদিকে ভিড়ে হাত সাফাইয়ের সুযোগ পুরোমাত্রায় কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে ‘ব্লেড গ্যাং’য়ের সদস্যরা। যাদের কাজ হল ব্লেড দিয়ে ব্যাগ ও পকেট কেটে টাকা ও অন্য সামগ্রী চুরি করা। যদিও এবার চুরি বা পকেটমারির অভিযোগ একেবারেই কম। মেলায় সাদা পোশাকের পর্যাপ্ত পুলিস থাকায় এবার ব্লেড গ্যাংয়ের সদস্যরা গতবারের মতো দাপট দেখাতে পারছে না। শুক্রবার সকাল থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় ৭০ জন পকেটমারকে। তার মধ্যে ২০ জনের বেশি মহিলা। তাদের অনেকেই ভিনজেলা থেকে মেলায় এসেছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। এছাড়া বিহারের কয়েকজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পতিরাম থানার ওসি সৎকার সাংবো বলেন, রোজই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে পকেটমারদের।
এদিকে শুক্রবার থেকেই বহু ভক্ত বোল্লা মাকে সোনা ও রুপো দান করেন। রবিবারও ভক্তরা প্রচুর অলঙ্কার দিয়েছেন। প্রতিবছর গড়ে প্রায় এক কেজি সোনা ও দুই থেকে তিন কেজি রুপো জমা হয় মন্দিরে। এবিষয়ে মন্দির কমিটির সদস্য স্বর্ণেন্দু মণ্ডল বলেন, এবারও প্রচুর সোনা ও রুপোর অলঙ্কার দিয়েছেন ভক্তরা।
রবিবার ভিনজেলার ভক্তদের চেয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষের ভিড় বেশি দেখা গিয়েছে। শনিবার রাতে বোল্লা মেলায় গিয়েছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি মন্দিরে পুজো দিয়ে একটি জলসত্রের উদ্বোধন করে ভক্তদের জল ও লাড্ডু তুলে দেন। এরপর মেলায় তাঁকে এয়ারগান দিয়ে বেলুনও ফাটাতে দেখা যায়। সাংসদ বলেন, বোল্লা মায়ের কাছে পুজো দিয়ে শান্তি কামনা করেছি।
বালুরঘাট জিআরপি থানার ওসি দিলীপ মাহাতো বলেন, প্রতি ট্রেন থেকেই হাজার হাজার মানুষ নামছেন। আমরা তাঁদের সবরকম সাহায্য করছি। - নিজস্ব চিত্র।