সরকারি সূত্রের দাবি, প্রতি দিন রাজ্যে আলুর চাহিদা কমবেশি ১৮ হাজার টন। শনিবার পর্যন্ত হিমঘরে আলু রয়েছে প্রায় ৮.১৯ লক্ষ মেট্রিক টন। নতুন আলুর জন্য ৫০ দিন অপেক্ষা করতে হলে প্রয়োজন অন্তত ন’লক্ষ মেট্রিক টন। ফলে এই পরিস্থিতি দামের দিক থেকে রাজ্যের চিন্তা বাড়াচ্ছে। কেন এই পরিস্থিতি? সরকারি সূত্রের দাবি, ৬ নভেম্বর সব জেলা মিলিয়ে রাজ্যে আলু মজুত ছিল প্রায় ১৪ লক্ষ মেট্রিক টন। ৭ থেকে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে হিমঘর থেকে আলু বেরিয়ে গিয়েছে প্রায় ৫.৮৯ লক্ষ মেট্রিক টন। আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, দৈনিক ৮ হাজার মেট্রিক টন করে আলু হিমঘর থেকে বেরনোর কথা ছিল। গত ২১ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করে আলুর মজুত নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। রাজ্যের চাহিদা মিটিয়েতবে আলু বাইরে পাঠানোর ব্যাপারে সওয়াল করেছিলেন তিনি। তার পরেও ২২ নভেম্বরই আলু বেরিয়েছে প্রায় ৩৮ হাজার মেট্রিক টন।
রাজ্যের দাবি, বাংলাদেশে আলু ছাড়ার ব্যাপারে কেন্দ্রই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল। তার পর থেকেই এই পরিস্থিতি রয়েছে। কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্নার বক্তব্য, “রাজ্য সরকার পরিস্থিতির উপরকড়া নজর রাখছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যে কোনও সিদ্ধান্ত সরকার নিতে পারে।” তাঁর সংযোজন, “ন্যায্য মূল্যে আলু বিক্রি করতে সুফল বাংলারস্টলগুলির সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। সেখানে কলকাতায় কেজি প্রতি ২৬ এবং জেলাগুলিতে কেজি প্রতি ২৫ টাকায় আলু মিলবে।আগামী ৫০ দিন ঠিক ভাবে চালানো গেলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।”