আদালত সূত্রের খবর, মুচিপাড়ার বাসিন্দা নির্যাতিতা ওই মহিলা বাবা-মায়ের দত্তক সন্তান। ২০২১ সালে সন্দীপের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সন্দীপ কলকাতা হাই কোর্টের এক আইনজীবীর করণিকের কাজ করে বলে আদালত সূত্রের খবর। অভিযোগ, নিজের রোজগার সাত হাজার টাকা হলেও বিয়ের আগে তার আয় ৩০ হাজার টাকা বলে জানিয়েছিল সে। নির্যাতিতার পরিজনদের অভিযোগ, বিয়ের পরে পণের জন্য স্ত্রী উপরে সে অত্যাচার শুরু করে। ওই মহিলার মা-বাবা পণের টাকা দিতে না পারায় স্ত্রীকে রোজগার করে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে সন্দীপ।
স্বামীর অত্যাচারে ফিজ়িয়োথেরাপির কাজ শিখে রোজগার করে সন্দীপকে টাকা দিতে থাকেন তার স্ত্রী। কিন্তু অভিযোগ, এর পরেও চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারায় সম্প্রতি স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করে সন্দীপ। তার পরেই মা-বাবার কাছে চলে আসেন নির্যাতিতা। থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। আদালত সূত্রের খবর, স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সন্দীপ বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছে।