• '৩৪ বছরের শাসন মানসিকতাতে মেদ বাড়িয়েছে', বিকাশরঞ্জনের এ কী স্বীকারোক্তি?
    ২৪ ঘন্টা | ২৫ নভেম্বর ২০২৪
  • মৌমিতা চক্রবর্তী: দলের মধ্যে ব্যক্তি প্রবণতা নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। সিপিআইএম-এর রক্তক্ষরণ কোনভাবেই কমছে না। কীভাবে মিটবে এই সমস্যা সেই বিষয়েও রয়েছে নানান ধোঁয়াশা। এবার কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর বিস্ফোরক দাবি করলেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় স্তরে মানুষের কাছে পৌঁছানো গেলেও স্থানীয় স্তরে দুর্বলতা থেকে যাচ্ছেই। একই সঙ্গে তিনি বলেন, 'কর্মীদের মধ্যে ২০১১ এর পর থেকে অদ্ভুত ভয় আছে, এটা কাটানো উচিত। নেতৃত্ব কখনই দায় এড়াতে পারেনা। নেতাদেরও নিচু তলায় যেতে হবে। ফাঁক নিশ্চয় থেকে যাচ্ছে। বামফ্রন্টের আমলে যারা সুবিধা পেয়েছেন তারা হয়ত সংগঠিত করতে ভয় পাচ্ছেন। যারা ৩৪ বছর আরামে ছিলেন। তাঁরা ৩৪ বছরে শাসন ক্ষমতা মানসিকতাতে মেদ বাড়িয়েছে। কান্তি দা নিচু তলার মানুষের সঙ্গে মেশেন। উনি ঠিক কথা বলেছেন।'

    তিনি আরও বলেন, 'আত্মপ্রচারের ঝোঁক বিপদজনক। সোশ্যাল মিডিয়া তে মানুষের সমর্থন দেখে যারা ভেবেছেন মানুষ আছেন সেটা সঠিক নয়। সোশ্যাল মিডিয়া করুন কিন্তু শুধুই সোশ্যাল মিডিয়া তে থাকলে সংগঠন হবেনা। সংগঠন নিচু তলায় বুথে তৈরি করতে হবে। আমরা বিরোধী দের সঙ্গে আড্ডা তর্ক করতাম, মানুষের সঙ্গে মিশেই পার্টি করেছি আমার মনে হচ্ছে এখন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এটা মিসিং, নইলে এমন পরিণতি হবে কেন? নিচু তলায় যাতায়াত এ ঘাটতি আছে। বুথভিত্তিক সংগঠন করতে বারবার পার্টি বলছে, সেটাই করতেই হবে। ধৈর্য্য ধরতে হবে। শূন্য কে নিয়েও আলোচনা হচ্ছে কারন বামপন্থীদের ওপর মানুষ ভরসা করে।' 

    কসবার গুলিকাণ্ডের নেপথ্যে কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন বাম আমলের দুর্নীতির তত্ত্ব। তাঁর দাবি, কসবা-বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় যা যা দুর্নীতি হয়েছে, তার বেশিরভাগই বাম আমলের। তারই পাল্টা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বাম আমলে কিছু দুর্নীতি হয়নি বলব না , কিন্তু আমরা রোখার চেষ্টা করতাম কিন্তু এখন বেলাগাম জমি দুর্নীতি চলছে।” 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)