এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে রবিবার কয়লা পাচারে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতার কালীঘাট থানার পুলিশ। ওই দিনই আলিপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের আদালতে হাজির করানো হয়েছিল তাঁকে। বিচারক তাঁকে এক দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিকাশকে রাখা হয়েছিল প্রেসিডেন্সি জেলে। বিচারকের নির্দেশ মতো সোমবার বিকাশকে ফের আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়। ঘটনাচক্রে, সোমবারই আবার কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠন হওয়ার কথা ছিল আসানসোল আদালতে। আদালত সূত্রে খবর, বিকাশকে আলিপুর আদালতে পুলিশ নিয়ে যাওয়ায় তাঁকে আসানসোল আদালতে সশরীরে হাজির করানো তো সম্ভবই হল না, হাজির করানো গেল না ভার্চুয়ালিও। অভিযুক্ত হাজির না থাকায় কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠন করা গেল না আসানসোল আদালতে।
আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জানান, আগামী ১০ ডিসেম্বর মামলার চার্জ গঠন। ওই দিন সকল অভিযুক্তকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পাশাপাশি, বিকাশের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার মামলা কী অবস্থায় রয়েছে, তা জানার জন্য প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে ‘মেল’ও করেছেন বিচারক। আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত যদি বিকাশকে প্রেসিডেন্সি জেলে থাকতে, তা হলে সেই দিন তাঁকে যাতে অন্তত ভার্চুয়ালি হাজির করানো যায় আসানসোল আদালতে, সে কথাও বলেছেন বিচারক।
কয়লা পাচার মামলায় সিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিটে মোট ৫০ জনের নাম ছিল। আদালত সূত্রে খবর, সোমবার মামলাটিকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটিতে ২৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হবে। আর একটিতে চার্জ গঠন হবে ২৭ জনের বিরুদ্ধে। প্রথম ২৩ জনের মধ্যে রয়েছেন অনুপ মাঝি ওরফে লালা, রতনেশ বর্মা এবং বিকাশ। এই তিন জনের বিচার প্রক্রিয়া আলাদা ভাবে হবে। কারণ, কয়লা পাচার মামলায় যত অভিযোগ উঠেছে, তার সব ক’টিতেই ওই তিন জনের যোগ রয়েছে। বাকি ২৭ জনের মধ্যে কেউ কোলিয়ারির ম্যানেজার, কেউ নিরাপত্তারক্ষী, কেউ বা আবার স্থানীয় দোকানদার। প্রসঙ্গত, চার্জশিটে ৫০ জনের নাম থাকলেও, তাঁদের মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় এখন পলাতক। আর জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে বাকি ৪৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়ে শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া।