এই সময়: সর্বনিম্ন তাপমাত্রার নিরিখে রবিবার সমান সমান ছিল পুরুলিয়া আর দিল্লি। এ দিন দু’জায়গারই রাতের তাপমাত্রা নেমে এসেছিল ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ২৪ ঘণ্টা পর অবশ্য দিল্লির কাছে হেরেই গেল পুরুলিয়া। সোমবার সকালে মৌসম ভবন জানিয়েছে দিল্লির লোদি রোড এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০.৪ ডিগ্রিতে। পুরুলিয়াও রবিবারের তুলনায় সোমবার রাতের তাপমাত্রায় পতন দেখেছে। তবে, দিল্লির মতো নয়। আলিপুর হাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, সোমবার ভোরে পুরুলিয়ার তাপমাত্রা নেমে এসেছিল ১১.১ ডিগ্রিতে।
নভেম্বর শেষ হতে এখনও পাঁচদিন। তার মধ্যে কি রাতের তাপমাত্রার রেকর্ডে সামান্য হলেও পরিবর্তন ঘটাতে পারবে রাজ্যের পশ্চিম প্রান্তের এই পাথুরে জেলা? পুনের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মিটিওরোলজির (আইআইটিএম) ডেটা বলছে নভেম্বরে পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রার সর্বকালীন রেকর্ড হলো ৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৮৫ সালের ২৯ নভেম্বর পুরুলিয়ার রাতের তাপমাত্রা এতটা নীচে নেমেছিল।
নভেম্বরে জেলার শীতলতম ১০টি রাতের মধ্যে পাঁচ বারই তাপমাত্রা সিঙ্গল ডিজিটে নেমেছিল। এর মধ্যে চার বার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির ঘরে ছিল। বাকি পাঁচ বার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে ছিল। সর্বনিম্ন তাপমাত্রার এই তালিকায় সবার নীচে রয়েছে ১৯৮৪–র ২৭ নভেম্বর। সে রাতে পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ছিল ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৪০ বছর পর অর্থাৎ ২০২৪–এর ২৫ নভেম্বর পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (১১.১) সেদিনের চেয়ে মাত্র ০.৩ ডিগ্রি বেশি ছিল। আবহবিদদের একাংশ মনে করছেন যে রেটে রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলোয় রাতের তাপমাত্রা কমছে, তাতে ২০২৪–এর নভেম্বরের ‘টপ টেন কোল্ডেস্ট নাইট’–এ ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।