• চালু হওয়ার পরেও মিলছে না বর্ধিত মজুরি, হতাশায় বিক্ষোভ মুর্শিদাবাদের বিড়ি শ্রমিকদের
    আজকাল | ২৫ নভেম্বর ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজ্যের কয়েক লক্ষ বিড়ি শ্রমিকের দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে গত সেপ্টেম্বর মাসে মুর্শিদাবাদে বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং বিড়ি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনার পর মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ,পুরুলিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং ঝাড়খণ্ডের পাকুড় জেলার বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি ১৭৮ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২০২ টাকা। কিন্তু অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ কিছু এলাকায় বর্ধিত এই মজুরি বিড়ি শ্রমিকরা হাতে পাচ্ছেন না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন রঘুনাথগঞ্জের মিঠিপুর, রামেশ্বরপুর-সহ একাধিক এলাকার শতাধিক বিড়ি শ্রমিক।

    বিক্ষোভরত বিড়ি শ্রমিকরা অভিযোগ, গত তিন বছর ধরে তারা এক হাজার বিড়ি তৈরির জন্য ১৭৮ টাকা মজুরি পাচ্ছিলেন। নতুন চুক্তির ভিত্তিতে নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে এক হাজার বিড়ি তৈরির জন্য তাদের ২০২ টাকা মজুরি পাওয়ার কথা ছিল। এখন তাঁরা এক হাজার বিড়ি জমা করলে একাধিক 'মুন্সি' লগবুকে এক হাজারের পরিবর্তে ৯০০ বিড়ি জমা নথিভুক্ত করছেন এবং বিড়ি শ্রমিকদেরকে ১৮৬ -১৯৮ টাকা পর্যন্ত মজুরি দিচ্ছেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, জঙ্গিপুর মহকুমার বেশিরভাগ মুন্সি, বিড়ি শ্রমিকদের কাছ থেকে চার 'মুঠা' (প্রায় ১০০ বিড়ি) অতিরিক্ত হিসেবে কেটে নিচ্ছেন। এর পাশাপাশি 'ছাঁট' হিসেবেও মুন্সিরা প্রচুর বিড়ি বাদ দিতে শুরু করেছেন।

    জঙ্গিপুর মহকুমার বিড়ি শ্রমিকদের সংগঠন 'জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি'র অন্যতম নেতা রুহুল আমিন বলেন, "নভেম্বর মাস থেকে বর্ধিত মজুরি চালু হওয়ার পর বেশিরভাগ জায়গা থেকেই আমরা খবর পাচ্ছি একাধিক মুন্সি নানা 'অজুহাতে' বিড়ি শ্রমিকদেরকে ন্যায্য মজুরি দিচ্ছেন না। তার ফলে নতুন মজুরি চালু হলেও এখানকার বেশিরভাগ শ্রমিক সেই সুবিধা এখনও পাননি।" তিনি আরও বলেন, "জঙ্গিপুর মহাকুমায় প্রায় ১০-১১ লক্ষ বিড়ি শ্রমিক রয়েছে। শ্রমিকদের কাছ থেকে মুন্সিরা বিড়ি সংগ্রহ করে যখন মালিকদের কাছে জমা করতে যান সেখানেও মুন্সিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বিড়ি নেওয়া হয়। এর ফলে মুন্সিরা প্রথম থেকে বিড়ি শ্রমিকদেরকে শোষণ করে তাঁদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বিড়ি সংগ্রহ করে রাখছেন।"

    ঔরঙ্গাবাদ বিড়ি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাজকুমার জৈন বলেন, "নতুন চুক্তি অনুযায়ী ঔরঙ্গাবাদ ও ধুলিয়ান বিড়ি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা বর্ধিত মজুরি মুন্সিদেরকে দিচ্ছেন বিড়ি শ্রমিকদের দেওয়ার জন্য। বিড়ি শ্রমিকরা তা পাচ্ছেন কি না আমাদের জানা নেই। এই বিষয়টি দেখার দায়িত্ব বিড়ি শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের। সংগঠনের নেতারা বিষয়টি আমাদের নজরে আনলে আমরা সংশ্লিষ্ট মুন্সিদের সাথে কথা বলব এই সমস্যার সমাধানের জন্য।"
  • Link to this news (আজকাল)