টাকা নিয়ে মালিকের নাম বদল বেলডাঙার অভিযুক্ত রেভিনিউ অফিসার
বর্তমান | ২৬ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: টাকা নিয়ে একজনের জমি অন্যজনের নামে রেকর্ড করে দেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল এক রেভিনিউ অফিসারের বিরুদ্ধে। বেলডাঙা-২ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের এক অফিসারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠতেই নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। অভিযুক্ত অফিসারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা ফজু শেখের শক্তিপুর মৌজার ১০ কাটা জমি ছিল। ব্লক অফিসের পাশে হওয়ায় সেই জমির দিকে নজর রয়েছে অনেকের। এরমধ্যে সেই জমি রেকর্ড বদলে করা হয়েছে স্থানীয় ফজাই শেখের নামে। রেভিনিউ অফিসার সহ বেশ কয়েকজন তিন লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে এই কাজ করেছে বলেই অভিযোগ তুলছে ফজুর পরিবার। সোমবার পরিবারের লোকজন বেলডাঙা-২ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের অফিসারদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে আসে শক্তিপুর থানার পুলিস। ফজু শেখের আত্মীয় আমিরুল শেখ বলেন, আমার কাকার জমি ফজাইয়ের নামে করা হয়েছে। বিএলআরও অফিসের রেভিনিউ অফিসার এবং আরও কয়েকজন এই কাজ করার জন্য তিন লক্ষ টাকার ঘুষ নিয়েছেন। আমাদের কাছে আমাদের এই জমির সমস্ত কাগজপত্র আছে। সেগুলি অফিসে এসে আজ যখন দেখাচ্ছি, ওঁরা কোনও কথাই শুনতে চাইছেন না। তাই বিক্ষোভ দেখাচ্ছি। আমরা আমাদের জমি ফেরত চাই। ব্লক অফিসের গায়েই এই জমি হওয়ায় বেশ কিছু প্রোমোটারের নজর পড়েছে। ওরা অত্যন্ত প্রভাবশালী। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক বিপুল কর্মকার বলেন, ওই জমি রেকর্ডটা কিছুদিন আগে আমাদেরই এক রেভিনিউ অফিসার করেছেন। এই রেকর্ডটা ঠিক না ভুল, সেটা তো এভাবে বলে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এটির প্রেক্ষিতে পুনরায় আবেদন করা যেতে পারে। আর টাকা নেওয়ার যে অভিযোগ ঊঠছে, সেটা নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। আমি এখানে সাড়ে তিন মাস হল এসেছি। এমন ধরনের কোনও অভিযোগ এর আগে আমার কাছে আসেনি। আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এই ঘটনা জানিয়েছি। কারণ কোনও রেভিনিউ অফিসারের বিরুদ্ধে বিএলআরও কোনও অ্যাকশন নিতে পারেন না। বহরমপুরের মহকুমা শাসক শুভঙ্কর রায় বলেন, আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। আমি অভিযোগ খতিয়ে দেখছি।