• বেশিরভাগ পঞ্চায়েতে বর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্প চালু হয়নি, পরিত্যক্ত কেন্দ্র
    বর্তমান | ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের প্রতিটি পঞ্চায়েতে কঠিন ও তরল বর্জ্য নিষ্কাশন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সাত বছর ধরে ব্লকের ছ’টির মধ্যে পাঁচটি পঞ্চায়েতে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গড়ে ওঠা ওই সমস্ত বর্জ্য নিষ্কাশন কেন্দ্র ঝোপঝাড়ে ভরে গিয়েছে। সেখানে দিনেদুপুরে মদ-গাঁজার আসর বসছে। একটি কেন্দ্রের দরজা-জানলাও দুষ্কৃতীরা খুলে নিয়ে গিয়েছে। যদিও ব্লক প্রশাসনের দাবি, ওই সমস্ত পরিত্যক্ত বর্জ্য নিষ্কাশন কেন্দ্র তাড়াতাড়ি চালু করতে পদক্ষেপ করা হয়েছে।


    ইচ্ছাপুর, প্রতাপপুর, লাউদোহা, গোগলা, গৌরবাজার ও জেমুয়া পঞ্চায়েত নিয়ে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লক গঠিত হয়েছে। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ব্লকের জনসংখ্যা ১,১৫,৯২৪। রাজ্যের অন্য পঞ্চায়েত এলাকার মতো এই ছ’টি পঞ্চায়েতে দূষণ রুখতে ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে কঠিন তরল বর্জ্য নিষ্কাশন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। তৎকালীন বর্ধমান জেলার জেলাশাসক ডঃ সৌমিত্র মোহন সেগুলির উদ্বোধন করেন। ঠিক ছিল, বাড়ি বাড়ি ভ্যানে করে আবর্জনা সংগ্রহ করে ওই কেন্দ্রে জমা করা হবে। সেখানে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করা হবে। অপচনশীল বর্জ্য থেকে কেঁচো সার তৈরি করে চাষাবাদে ব্যবহারের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছিল। বর্জ্য সংগ্রহের জন্য বাড়ি প্রতি মাসে ১০ টাকা করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু ব্লকের একমাত্র প্রতাপপুর পঞ্চায়েতে এই প্রকল্প সাফল্য পায়। বাকি পাঁচটি পঞ্চায়েতে প্রকল্প গড়ে উঠলেও প্রায় সাত বছর পরও বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে ওই সমস্ত বর্জ্য নিষ্কাশন কেন্দ্র সমাজবিরোধীদের ঠেকে পরিণত হয়েছে।প্রতাপপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সীতারাম রুইদাস বলেন, আমাদের বর্জ্য নিষ্কাশন প্রক্রিয়া প্রথম থেকেই স্বাভাবিক ছন্দে চলছে। কেঁচো সার তৈরি হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ বাড়ির মালিক মাসে ১০ টাকাও দিতে নারাজ। তাই সমস্যা হচ্ছে।


    লাউদোহা পঞ্চায়েতের বর্জ্য নিষ্কাশন কেন্দ্র গড়ে ওঠার কয়েকবছর পরই দুষ্কৃতীরা সেখানকার সমস্ত দরজা-জানলা খুলে নিয়ে গিয়েছে। বাকি পঞ্চায়েতেরও একই অবস্থা। বিডিও অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রতিটি পঞ্চায়েতে বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহ করা হবে। তাড়াতাড়ি বর্জ্য নিষ্কাশন কেন্দ্রগুলি চালু করা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)