• অবৈধ বালির কারবার বন্ধ করতে বিশেষ অ্যাপ, নবান্নের নির্দেশে সক্রিয় প্রশাসন
    বর্তমান | ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: অবৈধ বালির কারবার বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশাসন। সোমবার জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা বৈঠকে বসেন। জেলাশাসক আয়েশা রানি এ, পুলিস সুপার সায়ক দাস সহ অন্যান্য আধিকারিকরা বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অবৈধ বালির কারবার বন্ধ করতে বিশেষ অ্যাপের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। কোন এলাকায় কতগুলি বৈধ ঘাট রয়েছে, চালান কত রয়েছে, সেসব তথ্য ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কাছে থাকত। এবার তা পুলিসকেও দেওয়া হবে। এদিন ক্রাইম কনফারেন্সে সেই অ্যাপ নিয়ে পুলিস আধিকারিকদের বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরা। সেই অ্যাপের মাধ্যমেই পুলিস বালির ঘাট সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানতে পারবে। 


    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অবৈধ বালির কারবারে খণ্ডঘোষ, জামালপুর, গলসি এবং মঙ্গলকোটের কয়েকজন প্রভাবশালী স্ক্যানারে রয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে তারা ফুলেফেঁপে উঠেছে। ওই নেতাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আধিকারিকরা জোগাড় করেছেন। তারা অবৈধ কারবার চালিয়ে গেলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দুর্গাপুরের দু’জন পদাধিকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিস বার্তা দিয়েছে। এছাড়া সরকারি কোনও কর্মী এই কারবারে জড়ালে তাঁদের ক্ষেত্রেও একই রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় বৈধ ঘাটগুলি চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরই বড়শুল, রায়না, মঙ্গলকোট সহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ বালির ঘাট চালু হয়। এবার প্রথম থেকেই প্রশাসন সেদিকে নজর দিয়েছে। এছাড়া ওভারলোডেড ট্রাক বা ডাম্পার চলার ফলে রাস্তার অবস্থা দফারফা হয়ে যায়। রাস্তা সংস্কারের পর তা কয়েক মাসও টেকে না। সরকারের মোটা অঙ্কের টাকা প্রতি বছরই একই রাস্তা সংস্কার করতে খরচ হয়। জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন, ওভারলোডেড ট্রাক বা ডম্পার চললে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 


    প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মাফিয়ারা অনেক সময় অন্য জেলার চালান এনে বালি পাচারের চেষ্টা করে। পুলিস চালান দেখে গাড়ি ছেড়ে দিত। এবার থেকে তাদের সেই কৌশল কাজে আসবে না। বালি ব্যবসায়ীরা কোন এলাকার চালান ব্যবহার করছে, তা অ্যাপের মাধ্যমেই জানতে পারবেন। সোমবার মুখ্যসচিব জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স  করেন। নবান্ন থেকে বালির অবৈধ কারবার বন্ধ করার জন্য কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিস এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর মঙ্গলবার থেকেই বিশেষ অভিযানে নামছে। এক আধিকারিক বলেন, এবার মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে রাশ টানা যাবে। কোথাও ‘সেটিং’ করে বালি পাচারের চেষ্টা করলে প্রশাসন কড়া পদক্ষেপর পথে হাঁটবে। যারা বালির কারবারের সঙ্গে যুক্ত তাদের সতর্ক করা হচ্ছে। অবৈধ কোনও কিছু করলে শ্রীঘরে যেতে হবে বলে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)