• নয়া বছরে মহকুমা পরিষদে বসতে চলেছে সোলার প্যানেল, চলবে এসি-কম্পিউটার
    বর্তমান | ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: মাত্র তিন মাসে বিদ্যুতের মাশুল ১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা! যা অস্বাভাবিক। এবার তা কমাতে তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ। এজন্য তারা পরিষদের ভবনের ছাদে বসাবে সোলার প্যানেল। সবকিছু ঠিকঠাক চললে নতুন বছরের শুরুতেই সেই প্ল্যানেলের উদ্বোধন হবে। আলো জ্বালানোর পাশাপাশি তাতে চলবে লিফ্ট, ফ্যান, এসি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এমন পরিকল্পনা নেওয়া নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সভাধিপতি অরুণ ঘোষ। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভবনে সভাধিপতি, জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসকের রুম সহ বিভিন্ন ঘর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সোমবার মহকুমা পরিষদের সাধারণ সভায় সমগ্র বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। 


    কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কার্যত অমিল। সরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকেও আগের মতো বরাদ্দ মেলে না। এই অবস্থায় শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভবনে বিদ্যুৎ বিল বাবদ মাসিক খরচের পরিমাণ বিপুল। প্রশাসন সূত্রের খবর, পাঁচতলা ভবনে অসংখ্য ঘর। প্রায় প্রতিটিতেই আলো, ফ্যান, কম্পিউটার, এসি মেশিন প্রভৃতি রয়েছে। এজন্য অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর এই তিন মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে প্রায় ১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা। প্রতি তিন মাসেই এমন বিল আসছে। এবার তা সঙ্কোচন করতেই পরিষদের ভবনে সোলার প্যানেল বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 


    সভাধিপতি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শৌরশক্তি চালিত বিদ্যুতের ব্যবস্থা ভবনে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য রাজ্যের পঞ্চম অর্থ কমিশন থেকে মিলেছে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যে প্রকল্পটি নিয়ে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 


    শহরে হরেন মুখার্জি রোডে মহকুমা পরিষদের পাঁচতলা ভবন। সেখানে মহকুমা পরিষদ ছাড়াও একটি ব্যাঙ্ক, স্বাস্থ্যদপ্তর, সমবায় দপ্তর, উদ্যানপালন, ১০০ দিনের কাজ সহ সরকারি বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তর রয়েছে। মহকুমা পরিষদ সূত্রের খবর, সোলার প্যানেল থেকে প্রস্তুত হবে প্রায় ৫০ কেভিএ বিদ্যুৎ। তা দিয়ে পরিষদের সর্বশিক্ষা মিশন সহ নিজস্ব সমস্ত ঘরের বিদ্যুৎ জোগান করা হবে। তা হলে মাসে বিদ্যুৎ মাশুল বাবদ প্রায় ৮০ শতাংশ টাকা সাশ্রয় হবে। এছাড়া, এখন থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ পাওয়ার গ্রিডে মাধ্যমে বণ্টন করে বিক্রি করার পরিকল্পনাও রয়েছে। 


    শুধু তাই নয়, সমগ্র ভবন আমুল সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, জানুয়ারি মাসের মধ্যে ভবনে সভাধিপতি, জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, ১০০ দিনের প্রকল্পের নোডাল অফিসার প্রভৃতির ঘর, উদ্যানপালন সহ প্রতিটি বিভাগ সংস্কার করা হবে। ভবনে লিফ্ট বসানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। এজন্য ২৮ লক্ষ টাকা বারদ্দও করা হয়েছে। এজন্য টেন্ডার ডাকার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ করে গোটা ভবন ফের নীল-সাদা রঙে সাজিয়ে তোলা হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)