নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: করলা নদীতে উদ্ধার হল যুবকের দেহ। মৃতের নাম পঙ্কজ মোদক (৩৭)। বাড়ি জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল পাড়ায়। হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির অস্থায়ী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। গত ২০ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে ওই যুবক বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান বলে পুলিস সূত্রে খবর। সোমবার সকালে শহরের সুনীতিবালা সদর গার্লস হাইস্কুলের কাছে নদীতে ভাসতে দেখা যায় দেহটি। বাসিন্দারা বিষয়টি দেখতে পেয়ে খবর দেন থানায়। পুলিসের উপস্থিতিতে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের মর্গে।
জলপাইগুড়ি জেলা পুলিস সুপার খণ্ডবাহালে উমেশ গণপত বলেন, করলা নদী থেকে এদিন এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। যদিও মৃতদেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
তদন্তে নেমে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু কেন তিনি আত্মঘাতী হলেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। মৃতের দাদা পার্থ মোদক বলেন, ভাই কিছুতেই আত্মহত্যা করতে পারে না। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি। ঝগড়া করে পঙ্কজের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অবশ্য অস্বীকার করেছেন পার্থ। তাঁর দাবি, ভাই মাঝেমধ্যে মদ্যপান করত। এনিয়ে মা বারণ করত, এটুকুই যা। ২০ তারিখ বাড়িতে কোনও গণ্ডগোল হয়নি।
পঙ্কজ বিয়ে করেননি। পরিবারের দাবি, ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় একবার বাড়ি থেকে বের হন। এরপর দশটা নাগাদ ফিরে মায়ের কাছ থেকে একশো টাকা নিয়ে ফের বের হন। কিছুক্ষণ পর দাদার মোবাইলে ফোন করে কথা বলেন মায়ের সঙ্গে। মাকে খেয়ে নিতে বলেন। তাঁর ফিরতে একটু দেরি হবে। পুলিস সূত্রে খবর, ওই রাতে মদ খেয়েছিলেন পঙ্কজ।