সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: কাউন্সিলারের অফিস থেকে বস্তা বস্তা জলের পাউচ রাস্তায় ফেলে দেওয়া হল। সোমবার শিলিগুড়ি পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অফিসের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। বাগরাকোটে খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের গোডাউনের গা ঘেঁষে রয়েছে ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলার অফিস। স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ কয়েকজন কর্মী এসে অফিস থেকে বস্তা বস্তা জলের পাউচ বাইরে ফেলে দেন। স্থানীয় ছোট ছেলেমেয়েরা সেই পাউচ ফাটিয়ে খেলায় মেতে ওঠে। বহু মানুষ সেই পাউচ নিয়েও যায়।
পুরসভার জল প্রকল্পের দ্বিতীয় ইনটেক ওয়েলের মেরামতি কাজের জন্য গত শুক্র ও শনিবার শহরের জল পরিষেবা বন্ধ থাকবে ঘোষণা করেছিল পুরকর্তৃপক্ষ। শহরবাসীর যাতে পানীয় জলের সমস্যা না হয় তারজন্য পাড়ায় পাড়ায় ট্যাঙ্ক রেখেছিল পুরসভা। পিএইচই থেকেও জলের পাউচ এনে প্রতিটি ওয়ার্ডে দেওয়া হয়েছিল। সেই জল ফেলে দেওয়ায় সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগ উঠেছে।
কাউন্সিলার তৃণমূল কংগ্রেসের অভয়া বসু বলেন, দু’দিন জল পরিষেবা বন্ধ থাকবে প্রথমে ঠিক হয়েছিল।
সেই মতো মানুষের যাতে কষ্ট না হয় তারজন্য দু’দিনের জলের পাউচ মজুত করা হয়েছিল। কিন্তু শনিবার জল এসে যাওয়ায় সব পাউচ লাগেনি। দু’দিন হয়ে যাওয়ায় পাউচের মেয়াদ শেষ হয়েছে। পান করা যাবে না। গাছে দেওয়ার জন্য ওয়ার্ড অফিসের বাইরে রেখে দেওয়া হয়েছিল। এলাকার শিশুরা ওসব নিয়ে খেলা করলে কিছু করার নেই।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কাউন্সিলার নিজেই বলছেন এই জল আর পান করা যাবে না। তাহলে এভাবে রাস্তায় ফেলে দেওয়াটা বিপজ্জনক! না জেনে বিশেষ করে কচিকাঁচারা খেলাচ্ছলে এই জল পান করেনি কে বলতে পারে। রাস্তায় ছড়ানো পাউচ মাড়িয়ে যেতে গিয়ে পথ চলতি বহু মানুষ দাঁড়িয়ে খোঁজখবরও নেয়।
দিবাকর দাস, শ্যামল ঘোষ, রতন শীল কাউন্সিলারের এমন বক্তব্য জানার পর বলেন, এভাবে রাস্তায় না ফেলে কাউন্সিলার তাঁর কর্মী বা ওয়ার্ড কমিটিকে দিয়ে এই জল গাছে দেওয়ার ব্যবস্থা করলে ভালো হতো।