বড় সাফল্য বিএসএফের, ঘোজাডাঙা সীমান্তে উদ্ধার প্রায় ৭ কোটি টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট
বর্তমান | ২৬ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: বাংলাদেশ থেকে ঢুকছে প্রচুর মাদক। তা মজুত করা হচ্ছে ঘোজাডাঙা সীমান্তেই! গোয়েন্দা মারফত এ সংক্রান্ত নির্দিষ্ট খবর ছিল বিএসএফের কাছে। সেই সূত্রে ধরে অভিযান চালাতেই বড়সড় সাফল্য পেল বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার। রবিবার ঘোজাডাঙা সীমান্ত সংলগ্ন পার্কি এরিয়া থেকে প্রায় ৭ কোটি টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। এ যাবৎকালের মধ্যে একই জায়গায় এত বিপুল পরিমাণে ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়নি। বিএসএফ জানিয়েছে, এই কাণ্ডে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। মোট ৬৯ হাজার ৩৪৭টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। যার দাম প্রায় ৬ কোটি ৯৩ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ, প্রায় ৭ কোটি টাকা।
গত ১৮ নভেম্বর বিএসএফ নিজেদের গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামে অভিযান চালায়। সেখানেও বড়সড় সাফল্য মিলেছিল। এক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেপ্তার সহ প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার বিস্কুট উদ্ধার করে বিএসএফ। এক সপ্তাহের মাথায় ফের উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেই মিলল বড় সাফল্য। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে প্রায়ই মাদক পাচার হয়। কখনও ভারত থেকে গাঁজা, ফেনসিডিল, ফরেন লিকার বাংলাদেশে ঢোকে। কখনও আবার বাংলাদেশ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট আসে ভারতে। মাদক হিসেবে ইয়াবা খুবই জনপ্রিয়। চোরাবাজারে অত্যন্ত চড়া দামে তা বিক্রি হয়।
বিএসএফ জানিয়েছে, ররিবার ঘোজাডাঙায় তল্লাশি চালান জওয়ানরা। নির্দিষ্ট খবর অনুযায়ী অনুসন্ধান চালানোর পর সেখান থেকে একটি বড় ব্যাকপ্যাকের ভিতরে পাঁচটি প্যাকেট পাওয়া যায়। প্যাকেটের ভেতর থেকে ৩৫০টি ছোটো প্যাকেট পাওয়া যায়। তার ভিতরেই ইয়াবা ট্যাবলেটগুলি রাখা ছিল। বিএসএফ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের জন্য উদ্ধার হওয়া ইয়াবা ট্যাবলেট ঘোজাডাঙার শুল্ক দপ্তরে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে কারা জড়িত, তার খোঁজও শুরু হয়েছে।