• যথাসময়ে এনসিটিইকে রিপোর্ট পেশ করা নিয়ে চিন্তিত ৬৫৬ কলেজ
    বর্তমান | ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মুর্শিদাবাদ জেলায় নিরাপত্তার কারণে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় ডিএলএড সংক্রান্ত অনলাইন নথি জমার সময়সীমাও বাড়িয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২২ নভেম্বর পর্যন্ত ৬৫৬টি কলেজকে অনলাইন নথি জমা দেওয়ার চূড়ান্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল পর্ষদ। তবে, মাঝে ইন্টারনেট সংক্রান্ত সমস্যার জেরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৯ নভেম্বর। তবে, এর ফলে এনসিটিইর কাছে সময়মতো পারফরম্যান্স অ্যাপ্রাইজাল রিপোর্ট (পার) জমা দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কলেজগুলি। কারণ, অনলাইন নথি জমা দেওয়ার পরে তার হার্ডকপিও জমা দিতে হবে পর্ষদের কাছে। তা খতিয়ে দেখে কলেজগুলিকে শংসাপত্র দেবে পর্ষদ। আর সেই শংসাপত্র পার-এর সঙ্গে জুড়ে জমা দিতে হবে এনসিটিইর কাছে। তবে মিলবে স্বীকৃতি। সেই তথ্য জমা দেওয়ার সময়সীমা আগেই একমাস বাড়িয়ে ১০ ডিসেম্বর করেছিল এনসিটিই। ফলে, আরও একবার সময়সীমা বাড়ানো হবে না বলেই মনে করছে কলেজগুলি। অনলাইন নথি জমা দেওয়ার চূড়ান্ত সময়সীমার পরের দুটি দিন শনি এবং রবিবার। তারপরে এতগুলি কলেজের হার্ডকপি খতিয়ে দেখার জন্য সময় নেবে পর্ষদ। তাই ১০ ডিসেম্বরের ডেডলাইন যে ফেল করবে, সে বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত হয়েই গিয়েছেন বেশ কিছু কলেজের কর্ণধার। তাঁদের বক্তব্য, পর্ষদ এই প্রক্রিয়া আরও আগে শুরু করতে পারত। না-হলে সরাসরি হার্ডকপি জমা নিতে পারত। তাহলে এই প্রক্রিয়া গতি পেত। যদিও পর্ষদের বক্তব্য, সবকিছুই নিয়ম মেনে হচ্ছে। কলেজগুলি দেরি না করলে পর্ষদও নির্দিষ্ট সময়েই তাদের কাজ শেষ করবে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থা এনসিটিইকে সময়ে রিপোর্ট না দেওয়া গেলে কলেজগুলির অনুমোদন বাতিল হতে পারে। তাতে, ফের জটিলতা তৈরি হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)