সংবাদদাতা, বারুইপুর: সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যদের একটি ঘরে বেঁধে, ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি হল কুলতলিতে। রবিবার গরানকাঠি এলাকায় মুখে কাপড় বেঁধে ছ’জন দুষ্কৃতী ওই বাড়িতে ডাকাতি করতে ঢোকে। তবে পরিবারের অন্যদের বাঁধলেও এক শিশুকে ছেড়ে রেখেছিল ডাকাতরা। তারা চম্পট দিলে সেই শিশুই পরে অন্য সদস্যদের হাতের বাঁধন খুলে দেয়। তখন তাঁরা চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা জড় হন। খবর দেওয়া হয় কুলতলি থানায়। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এদিকে, ঘটনার জেরে এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। তবে বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেন, খুব দ্রুত দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে। পরিচিত কেউ জড়িত কি না, তার তদন্ত চলছে। গরানকাঠি এলাকার বাসিন্দা লখাই ঘাটা কলকাতায় এক বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। রবিবার তিনি বাড়িতেই ছিলেন। তাঁর স্ত্রী শবরী ঘাটা বলেন, দুষ্কৃতীরা সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ তপন বলে কারও নাম ডাকতে ডাকতে ঘরে ঢুকে পড়ে। তখন আচমকা বিদ্যুৎও চলে যায়। প্রত্যেকের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। তা দিয়ে ভয় দেখিয়ে আমাদের সবার হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে তারা। এরপর ঘর লণ্ডভণ্ড করে পাঁচ হাজার টাকা সহ কিছু সোনার গয়না হাতিয়ে নেয়। তবে আমার ছোট মেয়ের হাত বাঁধেনি ওরা। দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গেলে সেই আমাদের হাত থেকে দড়ি খুলে দেয়। নিজস্ব চিত্র