• শ্যামপুরে এজেন্সি দিয়ে খাল সংস্কারের সিদ্ধান্ত পঞ্চায়েতের
    বর্তমান | ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: দীর্ঘদিন ধরে একশো দিনের কাজ বন্ধ। ফলে খাল সংস্কার না হওয়ায় ক্ষতির মুখে চাষিরা। এই ক্ষতি আটকাতে এবার কোনও ব্যক্তি বা এজেন্সিকে দিয়ে খাল সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিল শ্যামপুর ২ নম্বর ব্লকের বাছরি গ্রাম পঞ্চায়েত। ইতিমধ্যেই গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বিডিও সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। বাছরি গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, প্রশাসনের অনুমতি পাওয়ার পর এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 


    বাছরি গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে একশো দিনের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় আগে পঞ্চায়েত এলাকায় একাধিক খাল সংস্কার করা হতো। প্রকল্প বন্ধ হওয়ায় এইসব কাজও শিকেয় উঠেছে। পঞ্চায়েতের চাঁপাবাড় থেকে কুলানন্দপুর হয়ে নন্দনপুর এবং দেওড়া থেকে চিলাড়া খাল, কুলটিকরি, ওশিয়ার রহমানের বাড়ি পর্যন্ত সানপাতিয়া বেলতলা খাল মজে গিয়েছে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এইসব খাল সহ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন খাল সংস্কার না হওয়ায় নিকাশি ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে চাষিদের ফসল নষ্ট হচ্ছে। এই চাষিদের স্বার্থে গত ১১ নভেম্বর পঞ্চায়েতের সাধারণ সভায় খাল সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানে ঠিক হয়, কোনও ব্যক্তি বা এজেন্সি যদি খাল সংস্কার করে সেই মাটি কেটে নিয়ে যায়, তাহলে পঞ্চায়েত আপত্তি জানাবে না।


    এ বিষয়ে বাছরি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামসুন্দর মেটিয়া বলেন, দীর্ঘদিন এইসব খাল সংস্কার না হওয়ায় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। নিকাশি ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সেই জল জমে নষ্ট হচ্ছে ফসল। তাঁর অভিযোগ, এব্যাপারে প্রশাসনিক স্তরে একাধিকবার আবেদন করলেও কোনও কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে পঞ্চায়েত সাধারণ সভা ডেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের কথা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। তার উত্তর এলে এব্যাপারে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ওই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করেছেন শ্যামপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি নদেবাসী জানা। তিনি বলেন, এভাবে খাল সংস্কার করে কোন ব্যক্তি বা এজেন্সি মাটি কেটে নিয়ে যেতে পারে না। সেটা আমরা সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতকে জানিয়ে দিয়েছি। 
  • Link to this news (বর্তমান)