• মৃতদেহ উদ্ধারের সময় ভিন্ন জুতো ছাত্রীদের পায়ে, বাড়ছে রহস্য
    বর্তমান | ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: কাকদ্বীপের দুই ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় আরও গভীর হচ্ছে রহস্য। একের পর এক প্রশ্ন উঠে আসছে। খুন না আত্মহত্যা, তা নিয়েও এখনও তথ্য হাতড়াচ্ছে পুলিস। তার মধ্যেই দুই ছাত্রীর জুতো নিয়ে নতুন করে রহস্য দেখা দিয়েছে। মৃত সোমা জানা ও সুমিতা দাসের পরিবার জানিয়েছে, টিউশন পড়তে যাওয়ার সময় মেয়েদের পায়ে অন্য জুতো ছিল। কিন্তু মৃত অবস্থায় যখন দুই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়, তখন তাদের পায়ে একই রকমের সাদা রঙের বুট ছিল। দু’জনের এই রকম কোনও জুতোই নেই। তাহলে কীভাবে তাদের পায়ে সেটা এল? এদিকে, মৃতদের বাড়ির লোকের প্রশ্ন, আত্মহত্যা করাই যদি উদ্দেশ্য হবে, তবে বাড়ি থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে রেললাইনেই বা তারা কেন গেল, বাড়ির পাশেই তো কাকদ্বীপ স্টেশন! তাহলে কি কেউ ওখানে ওদের ডেকে নিয়ে গিয়েছিল? এদিকে, রবিবার ওই দুই ছাত্রীর তিন বন্ধুকে সোমবার কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হলে বিচারক দু’জনকে চারদিনের পুলিস হেফাজত এবং একজনকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। জানা গিয়েছে, রবিবার জেরায় নানা প্রশ্নের সঠিকভাবে উত্তর দিতে পারেনি ওই তিনজন। কথাবার্তায় অসঙ্গতি ছিল বলেই পুলিস দু’জনকে গ্রেপ্তার এবং একজন আটক করে। এ বিষয়ে কাকদ্বীপের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তাদের মোবাইলের কল রেকর্ড সহ এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলে টিউশন পড়তে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই দুই ছাত্রী। তারপর রবিবার সকালে কুলপি থানার নিশ্চিন্তপুর ও করঞ্জলি স্টেশনের মাঝে রেললাইনে উপর তাদের খণ্ডবিখণ্ড দেহ উদ্ধার হয়।  
  • Link to this news (বর্তমান)