তথাগত চক্রবর্তী: পণের জন্য নাবালিকা গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় কুলতলি থানায় স্বামী-সহ শশুরবাড়ির অন্যান্যদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরপরই ঘটনার তদন্তে নামে কুলতলি থানার পুলিস। অভিযুক্ত ইসরাফিলকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাকে মঙ্গলবার বারুইপুপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। এদিকে দেহও ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
বকুলতলা থানা এলাকার বাসিন্দা সুরাইয়া মোল্লার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় কুলতলির বাসিন্দা ইসরাফিল পিয়াদার। সুরাইয়া একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। ইস্রাফিলের বাড়ি কুলতুলির বাড়ি পুর্ব রাধাবল্লভপুর এলাকায়। ১ মাস আগে সুরাইয়া স্কুল থেকে ফেরার সময় তাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যায় ইসরাফিল। এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। তারা মেয়ের খোঁজ শুরু করলে জানতে পারেন তারা বিয়ে করেছে।
মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকলেও লোকমুখে তারা মেয়ের উপর অত্যাচারের কথা শোনেন। বাপের বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা নেওয়ার জন্য তার উপর চাপ দেওয়া হত ও অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ। সোমবার বিকেলে মেয়ে বিষ খেয়েছে বলে তার বাবার ফোনে কেউ ফোন করে। খবর পেয়ে প্রথমে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি ও পরে কুলতলি ব্লক হাসপাতালে যান তারা। পরিবারের দাবি, মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। বারুইপুর এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানান, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।