তদন্তকারীদের কথায়, সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তাদের নির্দেশ অনুযায়ী দিল্লি এমস-সহ কয়েকটি কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হয়। ওই বোর্ডের কাছে মৃত চিকিৎসকের ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, সুরতহালের রিপোর্ট অনুযায়ী ময়না তদন্ত করা হয়েছে। এবং তার ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত রিপোর্ট ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি পেশ করেনি।
তদন্তকারীদের কথায়, “৯ অগস্ট তিন জন চিকিৎসক মৃতের ময়না তদন্ত করেছিলেন। ওই দিন মৃতদেহের ব্যবচ্ছেদের পাশাপাশি নানা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। নিহত ডাক্তারের ভিসেরা, রক্ত-সহ নানা নমুনা প্রধান ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকের অধীনেই রাখা ছিল। কিন্তু কলকাতা কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে ওই সব নমুনা আরও পাঁচ দিন বাদে, ১৪ আগস্ট পাঠানো হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।” নমুনা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত তাপমাত্রা বজায় রাখা হয়নি বলেও অভিযোগ ওঠে।
সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রধান ময়না তদন্তকারী চিকিৎসককে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁর বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। তা ছাড়া, তাঁর দুই সহকারী ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিন জনের বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এ দিন শুধুমাত্র প্রধান ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকের দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।