চার বছরের শিশুটির বাবা-মা খেতমজুর। এক ছেলেও আছে তাঁদের। আত্মীয়েরা জানান, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পাওনা টাকা আনতে মেয়েকে কাছের এক বাড়িতে পাঠান মা। পরে অভিযুক্ত পড়শির বাড়ির বিছানার নীচে বস্তায় মৃতদেহ মেলে। সোমবার কলকাতা মেডিক্যালে ময়না তদন্ত হয়েছে। শিশুটির বাবা বলেন, “মেয়ের জন্য মাংস এনেছিলাম। খেতে পারল না। লোকটার ফাঁসি চাই।”
ধৃত স্থানীয়দের মার খেয়ে এখন হাসপাতালে ভর্তি। হুগলি গ্রামীণের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার জানান, খুন এবং পকসো আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্ত করছে সিট। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত অপরাধ কবুল করেছে। স্থানীয়দের দাবি, ধৃতের দুই বিয়ে। দুই স্ত্রীই ছেড়ে গিয়েছেন। দ্বিতীয় পক্ষের দুই ছেলেমেয়ে। বাড়িতে একা থাকত সে। নেশা করত। ২০০৬-এও এক শিশুর যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত ছিল ধৃত।