নির্যাতিতার মা বলেন, ‘‘আমার পাশে সবাই দাঁড়াচ্ছে, আগামী দিনে আপনাদেরও আমার পাশে চাই। আমার মেয়েটা কী এমন অপরাধ করল, যে তাকে এমন নির্মম ভাবে মারা হল?’’ এ কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার মা। মহিলারা কি আজও কাজের জায়গায় সুরক্ষিত? বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এই প্রশ্নও তুলেছেন নির্যাতিতার মা। তাঁর কথায়, ‘‘আজও জানতে পারলাম না, সেই রাতে আমার মেয়ের সঙ্গে কী ঘটেছিল।’’ কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার বাবাও। তাঁর চোখ মুছিয়ে দিতে দেখা যায় বিরোধী দলনেতাকে। নির্যাতিতার বাবার কথা শুনে কেঁদে ফেলেন বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরিও।
এর পরই শুভেন্দু আশ্বাস দেন, নির্যাতিতার জন্য বিচারের দাবিতে আগামী ১০ ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণ ভাবে, আইন এবং গণতন্ত্র মেনে বিধানসভার ভিতরে এবং বাইরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং স্বার্থ ছাড়াই প্রধান বিরোধী দলের সকল বিধায়ক ধর্নায় বসবেন। দ্রুত এবং দৃষ্টান্তমূলক বিচার যাতে হয়, সেই দাবিও জানাবেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে চারতলার সেমিনার হল থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় উত্তাল হয় গোটা রাজ্য। এমনকি প্রতিবাদের আঁচ রাজ্য থেকে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও পৌঁছয়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে নির্যাতিতার জন্য বিচারের দাবিতে পথে নামেন সাধারণ মানুষ। চিকিৎসকেরা আন্দোলনে নামেন। চলে অনশন এবং কর্মবিরতিও। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া চলছে।