১৯ নভেম্বর ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেস হাওড়া স্টেশনে পৌঁছলে ট্রেনের প্রতিবন্ধী কামরায় বালির বাসিন্দা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের দেহ মেলে। দেহে ছিল আঘাতের চিহ্ন। তদন্তে নেমে একাধিক সূত্র হাতড়াচ্ছিল রেলপুলিশ। ইতিমধ্যে গুজরাতে ১৯ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধরা পড়েন এক যুবক। রবিবার হরিয়ানার রোহতক থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক ধর্ষণ, লুটপাট, খুনের ঘটনার কথা তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১৪ নভেম্বর। টিউশন সেরে বাড়ি ফিরছিলেন ১৯ বছরের ওই তরুণী। অভিযোগ, তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত। এর পর তরুণীকে খুন করে উদ্ভাদা রেল স্টেশনের অদূরেই রেললাইনের ধারে ফেলে দেন তাঁর দেহ। দীর্ঘ তল্লাশির পর শেষমেশ রবিবার হরিানার রোহতক থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারির পরেই ঘুরে গিয়েছে কাহিনির মোড়! জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নামে একাধিক খুনের অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এর আগে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, তেলঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ এবং কর্নাটকের বিভিন্ন ট্রেনে লুটপাট এবং খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তাঁর। অভিযোগ, অক্টোবরে মহারাষ্ট্রের সোলাপুর স্টেশনের কাছে ট্রেনে এক মহিলাকে ধর্ষণের পর খুন করেছিলেন ওই যুবক। শনিবারও তেলঙ্গানার সেকেন্দরাবাদ রেল স্টেশনের কাছে একটি ট্রেনে এক মহিলাকে খুন করেন ধৃত। খুনের পর মহিলার গহনা ও নগদ টাকা ছিনতাই করে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন। এর পর থেকেই পুলিশের চোখে ধুলো দিতে বারবার অবস্থান বদলাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
আইপিএস আধিকারিক করণরাজ বাঘেলা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত এক বছরে ওই ব্যক্তি সুরাত, ভালসাদ এবং ভাপির বিভিন্ন এলাকায় লুটপাট চালিয়েছেন। এর আগে রাজস্থান, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশে ট্রাক চুরির চক্রের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন ওই যুবক। এর পর ট্রেনে ট্রেনে ঘুরে বেছে বেছে মহিলা ও বৃদ্ধদের নিশানা করতেন তিনি। চলত লুটপাট কিংবা ধর্ষণ। দেশের বিভিন্ন স্টেশনের প্রায় ২০০০টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে শেষমেশ রবিবার যুবককে ধরেছে পুলিশ। ঘটনায় মামলা দায়ের করে শুরু হয়েছে তদন্ত। ওই যুবক আরও কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তা-ও।