তবে ইডির মামলায় জামিন পেলেও মঙ্গলবারই দুপুর ১টা নাগাদ বিশেষ সিবিআই আদালতে শান্তনুকে হাজির করানো হয়। কারণ, সোমবার ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র এবং শান্তনুকে আদালতে হাজির করানোর জন্য আবেদন করেছিল সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করে বিশেষ আদালত। মঙ্গলবার দু’জনকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করতে পারে সিবিআই।
২০২৩ সালের ১০ মার্চ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন হুগলির প্রাক্তন তৃণমূল যুব নেতা শান্তনু। ওই মামলায় অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলের বক্তব্য থেকেই প্রথমে কুন্তল ঘোষ, পরে শান্তনুর নাম উঠে আসে। হুগলির এই দুই প্রাক্তন তৃণমূল নেতা নিয়োগ দুর্নীতি চক্রের অন্যতম মাথা বলে উল্লেখ করেছিলেন তাপস।
শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের একটি তালিকা উদ্ধার করেছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। সেই তালিকায় রাজ্যের ১৭টি জেলার ৩৪৬ জন প্রার্থীর নাম ছিল বলে জানা যায়। ইডির চার্জশিটে বলা হয়েছিল, ২৬ জন প্রার্থীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন শান্তনু। পরে বিভিন্ন নামে অ্যাকাউন্ট খুলে সেই কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
চার্জশিটে শান্তনু এবং তাঁর স্ত্রীর সংস্থার বিরুদ্ধে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগও আনেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, শান্তনুর স্ত্রীর সংস্থা থেকে ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে জমি কিনেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। কিন্তু পরে তাঁকে সেই জমি দেওয়া হয়নি। ফেরত দেওয়া হয়নি জমা করা ৪০ লক্ষ টাকাও।