নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ঠিক যেন সিনেমার হাড়হিম করা চিত্রনাট্য। ট্রেনে ঘুরে ঘুরে খুন, ধর্ষণ ও লুটপাট! এমনই একাধিক ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে বড়সড় রহস্য ফাঁস করল গুজরাত পুলিস। গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত রাহুল। সে হরিয়ানার বাসিন্দা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত রাহুল হাওড়ার বালির এক তবলা বাদককে ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেসে খুন করে। জেরায় তেমনটাই স্বীকার করেছে সে। সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিভিন্ন ট্রেনে খুন, লুটপাট ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত শুরু করে রেল পুলিস ও গুজরাতের ভালসাদ পুলিস। ঘটনার সূত্রপাত গত ১৪ নভেম্বর। গুজরাতের ভালসাদে টিউশন সেরে বাড়ি ফিরছিলেন ১৯ বছরের এক তরুণী। অভিযোগ, তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন রাহুল। এরপর ওই তরুণীকে খুন করে উদ্ভাদা রেল স্টেশনের কাছেই তাঁর দেহ ফেলে দেয়। তদন্ত করে হরিয়ানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত রাহুলকে। গ্রেপ্তারির পর গুজরাতের ভালসাদ পুলিস ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য জানতে পারে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, গুজরাত, কর্ণাটক এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ট্রেনে ঘুরে ঘুরে খুন, লুটপাট ও ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। অভিযোগ, অক্টোবর মাসে মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে স্টেশনের কাছে ট্রেনে এক মহিলাকে ধর্ষণের পর খুন করে। গত শনিবারও তেলেঙ্গানার সেকেন্দ্রবাদে এক মহিলাকে খুন করে ধৃত রাহুল। শুধুই খুন নয়, ওই মহিলার গয়নাও লুট করে সে। এইভাবে একাধিক অপরাধ করছিল রাহুল। পুলিসের চোখে ধুলো দিতে বারবার অবস্থান বদল করত সে। অবশেষে একাধিক স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ও তদন্ত করে রাহুলকে গ্রেপ্তার করে ভালসাদ পুলিস। সূত্রের খবর, জেরায় হাওড়ার বালির তবলা বাদককে খুনের কথাও স্বীকার করেছে সে। তাই হাওড়া পুলিস গুজরাতের ভালসাদ পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এই বিষয়ে। সূত্রের খবর, গুজরাতে যাবে হাওড়া পুলিসের তদন্তকারী অফিসাররা। ধৃত রাহুল আদপে একজন সিরিয়াল কিলার বলেই মনে করছে গুজরাতের ভালসাদ পুলিস।