নারায়ণ সিংহ রায়: ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আর তার মধ্যেই সবকিছু নিয়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়ল সহযাত্রী। সর্বস্বান্ত হলেন দুই বাংলাদেশি পর্যটক। যখন ঘুম ভাঙল তখন দেখলেন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে। কর্মরত চিকিৎসকদের জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন তিনি ও তার ভাই শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ বাংলাদেশ থেকে যা কিছু নিয়ে এসেছিলেন তার সবটাই খুইয়েছেন।
পুলিস সূত্রে খবর, বাংলাদেশের বাসিন্দা ইয়ানা ও তার ভাই ২৪ নভেম্বর কলকাতার শিয়ালদহ থেকে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে উঠে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। আরএসি ৬৩ সিট নম্বর ছিল তাদের। অভিযোগ, আরএসি ৫৭ তে দুজন সহযাত্রী উঠেন৷ তারা তাদের সাথে বেশ গল্প জমিয়ে বসেন৷ তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশের খোঁজখবর নেন৷
ইয়ানার বক্তব্য অনুযায়ী ওই দুই সহযাত্রীও শিলিগুড়িতেই নেমে যাবে বলে জানান। রাত খানিকটা গড়ালে ঘুমিয়ে পড়েন ইয়ানা ও তার ভাই। ভোর তখন প্রায় তিনটে৷ তারা ইয়ানাদের ডেকে বলেন তারা নেমে যাবেন, তাদের সিটে আমাদের গিয়ে শুয়ে পড়তে বলেন। এরপরই তারা একটি কাপে চা দেয়। প্রথমটায় নিমরাজি হলেও তাদের জোরাজুরিতে সেই চা আমরা খাই। তারপর সিটে গিয়ে ব্যাগপত্র মাথার কাছে রেখে ঘুমিয়ে পড়ি। যখন জ্ঞান ফিরে আসল তখন দেখলাম শিলিগুড়ির জেলা হাসপাতালে শুয়ে রয়েছি।
ইয়ানা আরও বলেন, "আমার হাতের সোনার ব্রেসলেট, আমার ব্যাগে প্রায় ৭ হাজার টাকা, বেশকিছু বৈদেশিক মুদ্রা, আমার ভাইয়ের কাছে থাকা প্রায় দশ হাজার টাকা, সবটাই লুট হয়ে গিয়েছে৷ পুলিসের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন আমরা তো সর্বস্ব খুইয়েছি৷ কোন প্রকারে আমাদের বেনাপোল সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেবার বন্দোবস্ত করুক। তারপর আমরা চলে যাতে পারব।"
অন্যদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে জিআরপির এসআরপি কুনয়ার ভুষণ সিং বলেন, "বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। খড়গপুর ও আমরা যৌথভাবে বিষয়টির তদন্ত করছি।"