জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'নাম কা ওয়াস্তে শুধু পাইপ লাইন বসালেই হবে না'। রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের কাজে এবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'প্রতিটি বাড়িতে যেন জল পৌঁছয়, সেটাও দেখতে হবে। এটা প্রশাসনের দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে'।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'চাষের জন্য জল নিয়ে যাচ্ছে, আমি কৃষি দফতরকে বলব, সেচ দফতরকে বলব, তারা অন্য ব্যবস্থা করবে। এই জলের পাইপ কাটা যাবে না, যদি কোনওরকম কোনও অঘটন ঘটে, যাঁরা তারা বুঝবেন আগামীদিনে রেহাই পাওয়ার কোনও জায়গা নেই। আপনার পঞ্চায়েত এলাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কারণ আপনি দায়বদ্ধ মানুষের কাছে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কাজেই কোনও অধিকার কোনও পঞ্চায়েতের নেই বা কোনও ব্যক্তির কোনও জায়গায় আমি এটা পৌঁছতে দেব না। পৌঁছতে দিতে হবে, তা না হলে স্থানীয় স্তরে কেউ যদি মনে করে, কাউকে ম্যানেজ করে নিজেদের ম্যানেজ করবে, এটা হবে না। সে যেই হোক, তাঁদের মধ্যে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে'।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। রাজ্যজুড়ে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জেলায় জেলায় বেশ কিছু জায়গায় পাইপ লাইন পৌঁছলেই জল মিলছে না বলে অভিযোগ। আজ, মঙ্গলবার নবান্নে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য়মন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'ঠিকাদাররা ডিপিআর করে দিচ্ছে মাটি পরীক্ষা না করে, অর্থাত্ যখন পাইপটা যাচ্ছে, দেখছেন ওখানে জল পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে আপনি ডিপিআরটা করলেন কী করে? তাঁদের বিরুদ্ধে STF-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ডিজির নেতৃত্বে হবে। সেইসব ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে'।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য দাবি, 'জনরোষ চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়, যখন মুখ্যমন্ত্রী দেখছেন, পাহাড় থেকে সাগর পর্যন্ত মানুষ নির্ভয় হয়ে গিয়ে প্রতিবাদ করছে। ঠিকাদারদার অংলগ্ন কাজকর্ম করছে, তার বিরুদ্ধে করছে। তখন মুখ্যমন্ত্রী সেফটি ভালভ হিসেবে এই ধরণের বিবৃতি দিচ্ছেন'। তাঁর কটাক্ষ, 'ঠিকাদাররা কী করবেন? যে পরিমাণ ট্যাক্স তৃণমূল নেতাদের দিতে হয়, ঠিকাদারদের পক্ষে পুরো কাজ করা সম্ভব নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, জলের লাইন নেওয়ার সময় স্থানীয় মানুষ বাধা দেয়, ব্যবস্থা নেবে। এখানে বহু গ্রাম পশ্চিমবঙ্গে আছে, যেখানে জল পৌঁছয়নি। কারণ, তাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে বা তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়ে এই অবস্থার কোনও পরিবর্তন করতে পারবেন না। তাহলে তৃণমূল দলটাই থাকবে না'।