আবাস যোজনার সমীক্ষা চলছে। তা নিয়ে তুমুল অশান্তি কোচবিহারের দিনহাটার গীতালদহে। গীতালদহ-১ গ্রামপঞ্চায়েতের কোনামোক্তা গ্রামপঞ্চায়েতের ঘটনা। এই ঘটনায় দু’জন আহত হন। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সেখানে সমীক্ষা করতে যায় সরকারি দল। অভিযোগ, তালিকায় নাম উঠল কি না, তার খোঁজ নিতে যাচ্ছিলেন গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা। অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যর লোকজন তাঁদের পথ আটকায়। এর পরই শুরু হয় তর্কাতর্কি। মুহূর্তে তা হাতাহাতির চেহারা নেয়।
মোফাজ্জল হক ও আতিকুল রহমান নামে দুই ব্যক্তি আহত হন। তাঁদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মোফাজ্জলের বক্তব্য, তালিকায় নাম রয়েছে কি না তা দেখতে যাওয়াই অপরাধ হয়েছিল। পঞ্চায়েত সদস্যর লোকজনই মারধর করে।
যদিও অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য রোশনারা বিবির স্বামী তৈয়ব আলি জানান, যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। ওখানে আবাস যোজনা নিয়ে কোন গোলমাল হয়নি। অন্যদিকে গীতালদহ-১ গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান সোনম কালোয়ারের স্বামী রাজেশ কালোয়ারের বক্তব্য, তিনি সার্ভে টিমকে ফোন করেছিলেন। সার্ভে ভালো ভাবেই হচ্ছে। কোনও সমস্যার কথা তিনি জানতে পারেননি।
নতুন করে আবাসের তালিকা যাচাই চলছে। কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় বাড়ির টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে এ বার প্রায় ১২ লক্ষ বাড়ি তৈরির টাকা দেবে সরকার। এর মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ১ লক্ষ বাড়িও রয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, ১৫ থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে এই টাকা উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।
সরকারি গাইডলাইন অনুযায়ী, আবাসের ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যে প্রথম কিস্তিতে দেওয়া হবে ৬০ হাজার টাকা। সেটা সরাসরি চলে যাবে সুবিধে প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। বাড়ির কাজ কিছুটা এগোলে সরকারি কর্মীরা পরিদর্শন করবেন। সব ঠিকঠাক থাকলে সুবিধা প্রাপকের অ্যাকাউন্টে দ্বিতীয় কিস্তির ৪০ হাজার টাকা ট্রান্সফার করা হবে। বাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হলে তিনি পাবেন শেষ কিস্তির ২০ হাজার টাকা।