• জহর সরকারের জায়গায় রাজ্যসভায় কে? উপ-নির্বাচনের দিন ঘোষণা কমিশনের
    এই সময় | ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালের ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রেক্ষাপটে, ঘটনার ঠিক একমাস পর রাজ্যসভার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জহর সরকার। পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন প্রসার ভারতীয় প্রাক্তন সিইও। তারপর থেকে রাজ্যসভার এই আসনটি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। তাঁর পদের মেয়াদ রয়েছে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত।

    এই অবস্থায় রাজ্যসভার এই শূন্য আসন পূরণের জন্য, ২০ ডিসেম্বর উপনির্বাচন হবে বলে, জানাল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার, কমিশন জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের এই আসনটি ছাড়াও, অন্ধ্র প্রদেশের তিনটি এবং ওড়িশা ও হরিয়ানায় একটি করে আসনেও উপনির্বাচন করা হবে।

    গত ৮ সেপ্টেম্বর, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি দুই পৃষ্ঠার পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন জহর সরকার। আরজি করের ঘটনায় সরকারের দেরিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে বলেছিলেন, তৃণমূলে ‘অনুগ্রহপ্রাপ্ত কয়েকজন এবং দুর্নীতিবাজদের অবাধ্য মনোভাবে’র কারণেই প্রতিবাদ তীব্র আকার নিয়েছে।

    তিনি লিখেছিলেন, ‘আরজি কর হাসপাতালের ভয়ানক ঘটনার পর থেকে আমি এক মাস ধরে ধৈর্য ধরে সহ্য করেছি। আশা করছিলাম, আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের বিষয়ে পুরোনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কায়দায় আপনি সরাসরি হস্তক্ষেপ করবেন। তা ঘটেনি, এবং সরকার এখন যে সকল শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে তা অতি সামান্য এবং অনেক দেরি করে।’

    জহর সরকারের মতোই, চলতি বছরের অগস্টে ইস্তফা দিয়েছিলেন অন্ধ্রের রাজ্যসভার সাংসদ বেঙ্কটরমণ রাও এবং বীধা মাস্তান রাও। আর সেপ্টেম্বরে পদত্যাগ করেছিলেন রায়গা কৃষ্ণাইয়া। বেঙ্কটরমণ রাওয়ের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের জুনে। আর মাস্তান রাই এবং কৃষ্ণাইয়া, দুজনেরই মেয়াদ শেষ হবে ২০২৮ সালের জুনে। সেপ্টেম্বর মাসেই পদত্যাগ করেন ওড়িশা থেকে রাজ্যসভার সদস্য হওয়া সুজিত কুমার। তাঁর আসনের মেয়াদ রয়েছে ২০২৬-এর এপ্রিল পর্যন্ত। আর, অক্টোবরে পদত্যাগ করেছিলেন হরিয়ানার রাজ্যসভার সদস্য কৃষাণ লাল পানওয়ার। তাঁর মেয়াদ ছিল ২০২৮-এর অগস্ট পর্যন্ত।
  • Link to this news (এই সময়)