• কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের ৪১ জন পড়ুয়ার সাসপেনশনে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
    এই সময় | ২৭ নভেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের পর এ বার কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত ৪১ জন পড়ুয়ার সাসপেনশনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চের নির্দেশ, এই ৪১ জন ট্রেনি ডাক্তার নিয়মিত ক্লাস করতে পারবেন, পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। তবে তাঁরা হস্টেলে ঢোকা বা কলেজের অন্য কোনও অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পারবেন না। আগামী ৮ জানুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি হতে পারে।

    এ দিন ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সেসের তরফে আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী বলেন, ‘১৯ সেপ্টেম্বর জানা যায় অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি অভিযুক্তদের বক্তব্য শোনার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এমনকী অনেকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগও রয়েছে।’

    হাইকোর্টে সাসপেন্ড হওয়া ছাত্রদের হয়ে সওয়াল করেন তৃণমূলের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এ দিন আদালতে বলেন, ‘এই ৪১ জনকে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বরখাস্ত করা হয়। ফলে দীর্ঘদিন তাঁরা ক্লাসে যোগ দিতে পারছেন না। এ ভাবে চলতে থাকলে তাঁরা স্টাইপেন্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। কারণ নিয়ম অনুযায়ী তিন মাস পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনিরা ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে তাঁরা স্টাইপেন্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন না। পরীক্ষায়ও বসতে পারবেন না।’

    হাসপাতালের তরফে আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত বলেন, ‘এই ধরনের অভিযোগে সাধারণত অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি তিন মাসের জন্য হস্টেলে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। কলেজ ওয়েলফেয়ার কমিটির অভিযোগের পর কাউন্সিল সুপারিশ করেছে এই পড়ুয়াদের বরখাস্ত করার। তবে এ বিষয় রিপোর্ট দেওয়ার জন্য সময় দিতে হবে।’

    উল্লেখ্য, গত ১৭ সেপ্টেম্বর এই ছাত্রদের বিরুদ্ধে র‍্যাগিং-এর অভিযোগ তোলেন সংশ্লিষ্ট কলেজের কিছু পড়ুয়া। এরপর কলেজ কাউন্সিল ১৯ সেপ্টেম্বর সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে ৪১ জনকে সাসপেন্ড করেছিল। এরপর তাঁদের ক্লাস করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর তাঁদের ক্লাস করায় কোনও বাধা রইল না।
  • Link to this news (এই সময়)