• গাজোলের আকালপুরে পুকুরের দখল ঘিরে দুই পরিবারের সংঘর্ষ
    বর্তমান | ২৭ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ ও সংবাদদাতা পুরাতন মালদহ: পুকুরের দখলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষের পর বাড়ি ভাঙচুর করা হল মালদহের গাজোলের আকালপুরে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় একটি বাড়ি, বাইকেও। দুই গ্রামের দুই পরিবারের বিবাদকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিকের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিস বাহিনী। 


    এই ঘটনায় গাজোল- ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান উর্মিলা রাজবংশী বলেন, দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ঝামেলাকে কেন্দ্র করে যা ঘটেছে, প্রশাসনকে দেখতে বলব। 


    অভিযোগ, সোমবার শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা লালচাঁদ প্রামাণিকের ওপর হামলা চালায় পরেশ সরকারের পরিবারের লোকেরা। এই ঘটনায় প্রামাণিক পরিবারের এক সদস্য আহত হয়ে মালদহ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। পরে পুলিস প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুই পরিবারের বিবাদ মেটে।


    কিন্তু মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে আহতকে খাবার দিতে যাওয়ার সময় শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা সুরজিৎ প্রামাণিক ও মনোজ প্রামাণিকের ওপর ফের সরকার পরিবার হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁরা আকালপুর গ্রামের পরেশ ও বিশ্বনাথ সরকারের বাড়িতে হামলা চালান। বাড়িঘর ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মালদহ জেলা পুলিসের ডিএসপি (ডিএনটি) রবীন থাপার নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আগুন নেভাতে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন। 


    শ্যামপুরের বাসিন্দা মমতা কুমারীর অভিযোগ, পুকুরটি সরকারি। কিন্তু সরকার পরিবার বারবার পুকুরটি তাদের বলে দাবি করে। এনিয়ে আদালতে মামলা চলছে। সোমবার ওরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালালে একজন হাসপাতালে ভর্তি। সকালে ফের তারা হামলা করে। 


    এদিকে হামলার সময় থেকেই পরেশ সরকারের পরিবারের সদস্যরা পলাতক। মোবাইলে পরেশ বলেন, শ্যামপুরে ৮ বিঘার বেশি জায়গায়  দুটি পুকুর রয়েছে। সেটা আমাদের। আমাদের কাগজপত্র রয়েছে। অতীতে থানায় জমা দিয়ে এসেছি।  কাউকে মারধর করা হয়নি।
  • Link to this news (বর্তমান)