অফিসে যান না কেন, প্রধান নুরিকে ডেকে প্রশ্ন বিডিওর
বর্তমান | ২৭ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, ইসলামপুর: দীর্ঘদিন পঞ্চায়েত অফিসে না যাওয়ার অভিযোগ। ইসলামপুরের কমলাগাঁও সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নুরি বেগমকে নোটিস দিয়ে অফিসে ডাকলেন বিডিও। গরহাজির থাকার কারণ জানতে চাইলে মঙ্গলবার মৌখিক ও লিখিত জবাব দিয়েছেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত নুরি। দুপুরে পঞ্চায়েতের অধিকাংশ সদস্য ও কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে ইসলামপুর বিডিও অফিসে হাজির হন নুরি। বিডিওর কাছে জবাব দেওয়ার পর কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে প্রায় ২০০ মিটার হাঁটেন তিনি। গোটা কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের প্রতিনিধি তথা তৃণমূল নেতা সাদিকুল ইসলাম।
বিডিও দীপান্বিতা বর্মন বলেন, প্রধান কেন পঞ্চায়েত অফিসে যাচ্ছেন না, তা জানার জন্য নোটিস দিকে অফিসে ডাকা হয়েছিল। নুরির কথায়, একবার পঞ্চায়েতে অফিসে গিয়েছিলাম। সেই সময় অঞ্চল সভাপতি আবদুস সাত্তার ও কামালউদ্দিনের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা আমার উপর আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল। পুলিস, প্রশাসন আমাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। সাত্তার গুন্ডাবাহিনী নিয়ে পঞ্চায়েতের সামনে বসে আছেন।
পুলিস, প্রশাসন ও আমার উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে পঞ্চায়েত অফিসে যাব। অন্যদিকে, প্রধানকে অপসারণের দাবিতে সুজালি অঞ্চল তৃণমূল নেতৃত্ব পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ১২ দিন ধরে ধর্নায় বসে। আবাস যোজনায় ঘর পাইয়ে দেওয়া সহ একাধিক প্রকল্পের নামে কাটমানি নেওয়া এবং প্রধান পঞ্চায়েত অফিসে আসেন না বলে অভিযোগ অঞ্চল নেতৃত্বের। ধর্না শুরু হতেই নুরি এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন বলে অঞ্চল নেতৃত্ব অভিযোগ করেছিল। এদিন বাড়িতেই থাকছি দাবি করে নুরির মন্তব্য, সাত্তারের গুন্ডাবাহিনীর ভয়ে সুজালি ছাড়ব, নাকি উনি এলাকা ছাড়া হবেন সময় হলেই দেখতে পাবেন। এপ্রসঙ্গে সাত্তারের মন্তব্য,প্রধানের সঙ্গে লোকজন নেই। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে আছেন বলে সুজালি ছেড়ে চোপড়ায় গিয়ে থাকতে হচ্ছে। তারপরেও হুমকি দিচ্ছেন। প্রধানের অপসারণের দাবিতে আমাদের ধর্না চলবে।