• কেন্দ্রের গড়িমসির জন্য থমকে বাংলার শিল্পোন্নয়ন: শশী পাঁজা
    বর্তমান | ২৭ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের গড়িমসির জন্যই রাজ্যের শিল্পোন্নয়নের গতি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। মঙ্গলবার এমনই ইঙ্গিত করলেন পশ্চিমবঙ্গের শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা। ভারত মণ্ডপমে চলছে আন্তজার্তিক বাণিজ্য মেলা। এদিন ছিল পশ্চিমবঙ্গ দিবস। বাংলাকে বিশেষ পুরস্কারও দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রক। 


    কিন্তু বাংলায় ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকনমিক করিডর’ই হোক বা তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর, প্রকল্পের কাজ আটকে স্রেফ মোদি সরকারের জন্য। এখনও ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। অথচ ৪ হাজার ৩৬২ কোটির ছ’টি করিডরের জন্য এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্ক ৩ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা ঋণ দিতে রাজি।  পশ্চিমবঙ্গকে লজিস্টিক প্রকল্পের জন্য ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিতে রাজি বিশ্ব ব্যাঙ্ক। কিন্তু এ জন্য কেন্দ্রের অনুমোদন প্রয়োজন। 


    শশী পাঁজা বলেন, তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এখনও সম্পূর্ণ ছাড়পত্র দেয়নি। মন্ত্রী বলেন, অনেকদিন হয়ে গেল তাজপুর সংক্রান্ত ফাইল কেন্দ্রের কাছে আটকে। ওরা ছাড়পত্র দিলেই প্রকল্প শুরু হয়ে যাবে। একইভাবে ছ’টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকনমিক করিডরের মধ্যে রঘুনাথপুর-তাজপুর এবং ডানকুনি-ঝাড়গ্রামের জন্য জমি চিহ্নিত হয়ে গেলেও কেন্দ্রের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছি। 


    রাজ্যের শিল্পোন্ননের পাশাপাশি সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রেও সুযোগ পেয়ে নাম না করে বিজেপিকে তোপ দাগলেন রাজ্যের মন্ত্রী। বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মহিলাদের সামাজিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ ঘোষণা করেছিলেন, তখন কোনও কোনও রাজনৈতিক দল উপহাস করেছিল। এখন তারাই অন্য রাজ্যে এই প্রকল্পের নকল করছে। যারাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে অপমান করেছে, আমাদের রাজ্যে ভোটে হেরে তাদেরই এখন ঘুম ভেঙেছে। 


    শিল্প বিনিয়োগের পরিধি বাড়াতে উত্তরবঙ্গের চা বাগানের পরিত্যক্ত জমিকেই লিজ দিয়ে পর্যটন শিল্পকে আরও চাঙ্গা করার কথা জানান মন্ত্রী। বলেন, পরিত্যক্ত জমিতে ২৩ টি কোম্পানি ৩২ টি প্রকল্পের প্রস্তাব দিয়েছে। তার মধ্যে ১১ টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য।  ১৪ তারিখ থেকে শুরু হওয়া মেলায় ইতিমধ্যেই বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সামগ্রী বিক্রি হয়েছে ১০ লক্ষ ৭৩ হাজার ৩৪০ টাকার। এছাড়া তন্তুজ, মঞ্জুষা, বিশ্ব বাংলা, বাংলার মিষ্টির মতো সার্বিক ব্যবসার অঙ্ক ৮২ লক্ষ ১০ হাজার ৮০০ টাকা। মেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ণাবয়ব ছবির সঙ্গে আট থেকে আশি মোবাইলে ছবি তোলার ভিড়ও দেখা গেল ভালোই।
  • Link to this news (বর্তমান)