• বিমার টাকার লোভে কিছু ব্যবসায়ীই আগুন দিচ্ছেন কারখানায়, গুদামে!  
    বর্তমান | ২৭ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সম্প্রতি পর পর অনেকগুলি বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ব্যবসায়ীরাই অর্থবর্ষের শেষে ইচ্ছাকৃতভাবে কারখানায় বা গুদামে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন! মূলত বিমার মোটা টাকা পাওয়ার মতলবেই এই কাণ্ড ঘটানো হচ্ছে! মঙ্গলবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এমনই জানালেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু স্বয়ং।


    প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের ফরেন্সিক তদন্ত হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবেও আগুন লাগানো হচ্ছে! আর তা সহজেই ধরা পড়ে যাচ্ছে ফরেনন্সিক পরীক্ষায়। যাঁদের ক্ষেত্রে এমনটা ধরা পড়বে, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপও করা যেতে পারে। সাফ বক্তব্য দমকল মন্ত্রীর। ফলে, সংশ্লিষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে তাঁর বার্তা, এমনটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কারণ এতে প্রাণহানির আশঙ্কাও থাকে। 


    গত ১৩ বছরে রাজ্যে দমকলের পরিকাঠামোর ব্যাপক উন্নতি হয়েছে বলেও দাবি করেছেন মন্ত্রী। স্বাধীনতার পর থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজ্যে মোট ১০৯টি দমকল কেন্দ্র ছিল। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় রাজ্যে তৈরি হয়েছে ৫৫টি নতুন দমকল কেন্দ্র। পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে আরও ১০টি ড্রোন এবং ৭৫টি দমকলের গাড়ি কেনা হচ্ছে। রাজ্যজুড়ে আরও কয়েকটি নতুন দমকল কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। মাঝারি মাপের হাইড্রোলিক ল্যাডার কেনা হবে। বর্তমানে রাজ্যের কাছে ইতিমধ্যেই ৫০ থেকে ৬৮ মিটার লম্বা ৬টি হাইড্রোলিক ল্যাডার আছে। তবে কিছু জায়গায় আগুন নেভাতে ২৪ বা ৩৩ মিটার লম্বা  হাইড্রোলিক ল্যাডারও জরুরি হয়।


    মন্ত্রী আরও জানান, তাঁর দপ্তর ২০২৩ সালে ২,৩০০টি এবং এবছর এখনও পর্যন্ত ২,৯০০টি ফায়ার অডিট করেছে। যাঁরা ৫,০০০ বর্গ ফুট জায়গার মধ্যে ব্যবসা করতে চান, তাঁরা অনলাইনে ফায়ার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
  • Link to this news (বর্তমান)