পানীয় জল নিয়ে ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না নাকতলা, রামগড়ের
এই সময় | ২৭ নভেম্বর ২০২৪
গার্ডেনরিচ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মিষ্টি জলের মাত্র দশ শতাংশ জোটে নাকতলা–রামগড়ের বাসিন্দাদের জন্যে। এই দশ শতাংশ মিষ্টি জল মাটির নীচ থেকে পাম্পের সাহায্যে তোলা জলের সঙ্গে মিশিয়ে সরবরাহ করা হয় কলকাতা পুরসভার ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের নাকতলা, সেকেন্ড স্কিম, বৈষ্ণবঘাটা, লক্ষ্মীনারায়ণ কলোনি, রামগড়–সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়।
মাঝেমধ্যেই জল নিয়ে সমস্যা হয়। মঙ্গলবার সকালেও পুরসভার সরবরাহ করা পানীয় জল নিয়ে সমস্যায় পড়েন রামগড়ের অনেক বাসিন্দা। জল সরবরাহ বিভাগের কর্তাদের কানে খবর পৌঁছনোর পর জলের দু’টি গাড়ি পাঠিয়ে অস্থায়ী ভাবে সমস্যার সমাধান করা হয়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাসের মধ্যে অন্তত দিন কুড়ি এমন সমস্যায় ভুগতে হয় তাঁদের।
মঙ্গলবার সকালে কেন বিপত্তি ঘটল রামগড়ে? এ নিয়ে খোঁজে নিতে গিয়ে পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়ায় ছোট–বড় মিলিয়ে মাটির নীচ থেকে জল তোলার পাম্প রয়েছে মোট ২৭টি। এই পাম্পগুলির উপরেই আজও এই ওয়ার্ডের পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা নির্ভরশীল।
বাসিন্দারা জানান, মাসের মধ্যে কোনও না কোনও দিন কোনও না কোনও পাড়ায় পাম্প বিগড়োয়। আর সেই পাড়ার বাসিন্দাদের সে দিন জল নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। স্থানীয় জয়দীপ সাহার কথায়, ‘পানীয় জল নিয়ে আমাদের দুর্ভোগ লেগেই আছে। মাসের মধ্যে অন্তত বার পাঁচেক আমাদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হয়।’
বাসিন্দাদের জল–যন্ত্রণা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে ওয়ার্ডে চারটি পাম্পিং স্টেশন নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগকে। খুব শীঘ্রই তা বাস্তবায়িত হবে। গাঙ্গুলিবাগানের চিলড্রেন পার্কে একটি বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের কাজ চলছে। নাকতলা স্কুলের কাছেও আরও একটি পাম্পিং স্টেশনের কাজ শুরু হবে।’
দক্ষিণ শহরতলির রামগড়, নাকতলা–সহ পুরো ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে জল সরবরাহ কেন পাম্পের সাহায্যে মাটির নীচ থেকে জল তোলার উপরে নির্ভর করবে, সে নিয়ে স্থানীয়রা অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে ফাঁকা জমির অভাব। তাই পর্যাপ্ত পাম্পিং স্টেশন গড়া যায়নি।
যে সব জমি ফাঁকা রয়েছে, তা স্থানীয় কোনও না কোনও ক্লাবের দখলে রয়েছে। ক্লাবকর্তারা তাঁদের ক্লাবের জায়গা ছাড়তে রাজি নন। প্রস্তাবিত দু’টি পাম্পিং স্টেশনের জন্যে ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে দু’টি ফাঁকা জয়াগা পুরসভা চিহ্নিত করেছে। তা নিয়ে এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে পুরকর্তাদের।