আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গত সেপ্টেম্বর মাসে অভিজিৎকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এই মামলায় মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও গ্রেফতার করে তারা। গ্রেফতারির পরে অভিজিৎকে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করেছিল রাজ্য সরকার। কোনও সরকারি কর্মী গ্রেফতার হয়ে ৪৮ ঘণ্টার বেশি তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে থাকলে, নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে সাসপেন্ড করতে হয়। সেই নিয়ম মেনেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল অভিজিৎকে।
নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি। সেই আবেদনের বিরোধিতা করেছে সিবিআই। তাদের দাবি, ঘটনার দিন অর্থাৎ ৯ অগস্ট চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে সন্দীপ এবং অভিজিতের মধ্যে মোবাইলে সবচেয়ে বেশি কথাবার্তা হয়েছিল। কল ডিটেলসে তা দেখা গিয়েছে। বেশ কয়েকটি ‘সন্দেহজনক’ মোবাইল নম্বরেও তাঁরা বার বার ফোন করে কথা বলেছিলেন। সে বিষয়ে আরও জেরা এবং অনুসন্ধান প্রয়োজন বলে আদালতে দাবি করে সিবিআই। টালা থানা থেকে সিসি ক্যামেরার যে হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করা হয়েছে, তা পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন বলেও দাবি তদন্তকারী সংস্থার। সে কারণে অভিজিতের জামিনের বিরোধিতা করছে তারা। এ বার তাই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিজিৎ।