বেশ কয়েক দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন বিভাগের পড়ুয়াদের খাতা যথাযথ ভাবে দেখা হয়নি বলে অভিযোগ উঠছে। ইতিমধ্যেই দুই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (জুটা) মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে প্রস্তাব দিয়েছে, সব খাতা বাইরের পরীক্ষককে দিয়ে দেখানো হোক। পড়ুয়াদের একাংশ সোমবার ওই দুই শিক্ষকের ঘরে তালা লাগিয়ে দিয়েছিলেন, যা এ দিনও খোলা হয়নি। চাবি কর্তৃপক্ষের কাছেই রয়েছে। এই বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার জন্য জুটা-র প্রতিনিধিরা অনুরোধ করেছেন। অভিযোগ, পড়ুয়াদের একাংশ শিক্ষকদের প্রতি কটূক্তি, গালিগালাজ, টিটকিরিও করছেন। এমন ঘটতে থাকলে জুটা আন্দোলনের পথে যাবে বলেও অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে জানানো হয়েছে। জুটা-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের দাবি, যে খাতাগুলি নিয়ে বিতর্ক, তার স্ক্রুটিনি পরীক্ষা নিয়ামক দফতর করেনি বলে এ দিন অন্তর্বর্তী উপাচার্য স্বীকার করেছেন। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে ফোন এবং মেসেজ করা হলেও কথা বলা যায়নি। অন্য দিকে, বিভাগীয় প্রধান পার্থসারথি চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আজ, বুধবার বোর্ড অব স্টাডিজে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে।
আবার এ দিন সন্ধ্যা নাগাদ পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে পড়ুয়াদের মধ্যে গন্ডগোল বাধে। সোমবারও এক দফা সংঘর্ষ হয়েছিল। এ দিন তা বড় আকার নেয়। ক্যাম্পাসের ‘ওয়ার্ল্ড ভিউ’-এর কাছে এই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন এসএফআই এবং কালেক্টিভ-এর সদস্য-সমর্থকেরা। ডিন অব স্টুডেন্টস রজত রায় জানান, সাত ছাত্রছাত্রীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।