বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আব্দুর ওই ছাত্রাবাসে গত তিন বছর ধরে ছিলেন। পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর পাশ করে সাংবাদিকতার স্নাতকোত্তরে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর এক ভাই রকিম শেখ বলেন, ‘‘সোমবার বিকেলেও ওকে দেখা গিয়েছে। ওর এক পরিচিত ছাদে জামাকাপড় মেলতে গিয়ে ওকে ডাকেন। বার বার দরজায় ধাক্কা দেন। কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে উঁচু জায়গায় উঠে ঘরের ভিতরে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। তখন তিনি সবাইকে ডাকেন। দরজা ভাঙা হয়। ওকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তারেরা।’’
কৃষিজীবী পরিবারের চার ভাই-বোনের মধ্যে ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল ছিলেন আব্দুর। চলতি বছরেই স্নাতকোত্তর পাশ করেন। তার পরে কিছু দিন মালদহের বাড়িতে ছিলেন আব্দুর। এক বন্ধু তাঁকে পরামর্শ দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়র পড়ুয়াদের পড়িয়ে উচ্চশিক্ষার খরচ জোগাড় করতে। তার পরে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। বোন জায়েদা বলেন, ‘‘সোমবার কবাডি খেলায় জয় নিয়ে সমাজমাধ্যমে ‘স্টেটাস’ দিয়েছিল দাদা। পরে ওর দেহ মেলে। ওকে কেউ খুন করে থাকতে পারে।’’ আব্দুরের মা সানুয়ারা বিবি বলেন, “গত দু’দিন ঠিক মতো ফোন করছিল না। আমরা করলে কথা বলত। কী করে এমন হল, বুঝতে পারছি না!’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘খুব হাসিখুশি ছেলে ছিল। সোমবার সন্ধ্যাতেও ওকে অনেকে দেখেছে। ওর মধ্যে অস্বাভাবিকতা দেখিনি।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও সহপাঠীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরে এই ঘটনা বলে কেউ কেউ মনে করলেও পুলিশ তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখছে। রকিম বলেন, ‘‘দাদার মৃত্যু ঘিরে রহস্য রয়েছে। ওর মৃত্যুর তদন্ত করার জন্য থানায় লিখিত আবেদন করেছি।’’