• হুমায়ুনকে শোকজ তৃণমূলের, 'কাউকে ভয় পাই না', বলছেন ভরতপুরের বিধায়ক
    আজ তক | ২৭ নভেম্বর ২০২৪
  • দলবিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার তৃণমূলের দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে খবর। হুমায়ুনকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে শোকজের উত্তর চাওয়া হয়েছে। তিনিও উত্তর দেবেন বলেই জানান। 

    বুধবার বিধানসভায় আসেন ভরতপুরের বিধায়ক। সেখানেই তিনি জানতে পারেন শোকজের কথা। তারপরই জানান, শোকজের জবাব দেবেন। তবে হাতে চিঠি পাননি। চিঠি পেলেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। 

    তবে দল তাঁকে শোকজ করলেও নিজের অবস্থানে অনড় হুমায়ুন। বুধবার তিনি তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখিও হন। জানান, তিনি রাজনীতিতে কাউকে ভয় পান না। নিজের অবস্থানে অনড়। সংসদীয় রাজনীতিতেই তিনি থাকবেন। এর আগে অনেক বাধা এসেছে। তবে ভোটের রাজনীতি করেছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। 

    হুমায়ুনের কথায়, 'রাজনীতিতে শত্রু থাকবে। সেই সব শত্রুদের মোকাবিলা করেই রাজনীতি করে এসেছি। আগামী দিনেও করে যাব। রাজনীতির ময়দান থেকে সবর না। কে বা কারা বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে তা এখনই বলব না। আমি কাল যেটা বলেছিলাম সেটাও আজই বলছি। অবস্থানে অনড় থাকছি।' 

    হুমায়ুন কংগ্রেস করতেন একসময়। তারপর তৃণমূলে যোগ দেন। মাঝে বিজেপিতেও ছিলেন। পরে ফের শাসকদলের টিকিটে বিধায়ক হন। রাজনীতির সেই জার্নির কথা তুলে ধরে বলেন,'২০১২ সালে কংগ্রেস দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিই। তার ঠিক আড়াই বছর পর আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২০১৯ সালে ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম বিজেপির টিকিটে। সেবার আড়াই লক্ষ ভোট পেয়েছিলাম। আমি যেদিন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসি মুর্শিদাবাদে সেদিন একজন মাত্র বিধায়ক ছিলেন। সেবার আমি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিই। এখন অনেকে ক্ষমতা ভোগ করছে মুর্শিদাবাদে। কংগ্রেস ত্যাগ করায় তারা সেদিন আমাকে বিশ্বাসঘাতক বলেছিল। তাই হুমায়ুন কবিরকে পরীক্ষা দেওয়ার দরকার নেই। পার্টিকে শক্তিশালী রেখেই রাজনীতি করব।' 

    প্রসঙ্গত, হুমায়ুন কবীর সম্প্রতি দাবি করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী করা হোক। তাঁকে পুলিশমন্ত্রী করার পক্ষেও সওয়াল করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশমন্ত্রী করা হলে পুলিশ আরও শৃঙ্খলাপরায়ণ থাকবে। এই দাবি করে বসেন ভরতপুরের বিধায়ক। তা নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়। এদিকে এর মধ্যে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পর আরও বিস্ফোরক হয়ে ওঠেন হুমায়ুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে কিছু নেতা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা হচ্ছে। অভিষেককে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। প্রকাশ্যেই এই মন্তব্য করেন হুমায়ুনকে। তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। এরপরই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে শোকজ করা হয় তাঁকে। 

     
  • Link to this news (আজ তক)