রাজ্যে সরকারি হাসপাতালগুলিতে রোগীর ক্যাথেটার নিয়ে বড় দুর্নীতি? তদন্তের নির্দেশ
আজ তক | ২৭ নভেম্বর ২০২৪
রাজ্যের কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে বেশি দামে নিম্নমানের ও লোকাল ক্যাথেটার সরবরাহ করার অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য দফতর। জানা যাচ্ছে, রাজ্যের কমপক্ষে পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে এই ক্যাথেটার সরবরাহ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারি হাসপাতালে এই ক্যাথেটার সরবরাহের অভিযোগ স্বীকার করেছে ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। যদিও তাদের বক্তব্য কর্মচারীদের ভুলের কারণেই এটা ঘটেছে। এই বিষয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক সিনিয়র কর্তা বলেন, 'আমরা স্টক পরীক্ষা শুরু করেছি এবং আমার হাসপাতালের স্টোরে তৈরি ক্যাথেটার পেয়েছি। রাজ্যের বরাদ্দের তুলনায় এই ক্যাথেটারগুলি নিম্নমানের। আমরা রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগকে জানিয়েছি।'
স্বাস্থ্য বিভাগের একজন আধিকারিক বলেছেন, অন্যান্য হাসপাতালের স্টোরেও নিম্নমানের ক্যাথেটার পাওয়া গেছে। এই কেলেঙ্কারিতে ভেতরের লোকেদেরই জড়িত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। নিম্নমানের সিভিসিগুলি গত তিন থেকে চার মাস ধরে কলকাতার উত্তরাঞ্চলের হাতিবাগান এলাকার একটি সংস্থা সরবরাহ করেছিল। ওই আধিকারিক আরও বলেন, ' এই ধরনের স্থানীয় সিভিসিগুলির দাম প্রায় দেড় হাজার টাকা। কিন্তু ওই সংস্থা প্রতিটি ডিভাইসের জন্য ৪,১৭৭ টাকা নিয়েছে।'
একটি সেন্ট্রাল ভেনাস ক্যাথেটার বা CVC হল একটি পাতলা ও নরম টিউব, যা তরল, রক্ত এবং অন্যান্য চিকিৎসার জন্য শিরায় প্রবেশ করানো হয়। এটিকে ক্লিনিক্যালি একটি সেন্ট্রাল লাইন ক্যাথেটারও বলা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্তা বলেন, 'প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি প্রকাশ সার্জিক্যাল সরকার নির্ধারিত আন্তর্জাতিক কোম্পানির সিভিসি-র পরিবর্তে নিম্নমানের এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি ক্যাথেটার বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করেছিল৷ সমস্ত ইউনিট পরীক্ষা করা হবে এবং একটি সঠিক তদন্ত চলছে। এতে কাদের লাভ হয়েছে তা খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত করা হবে।' রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের অন্য এক কর্তা বলেন, ' এই বিষয়ে পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল৷ এই ধরনের নিম্নমানের সিভিসি ব্যবহারের ফলে কতজন রোগী প্রভাবিত হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে৷। এই ঘটনায় হাসপাতালের কর্মী ও সরবরাহ সংস্থার কর্তারা জড়িত কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।'
যদিও নিম্নমানের ক্যাথেটার সরবরাহের জন্য সংস্থা তার কর্মচারীদের দায়ী করেছে। সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, 'আমি কয়েক মাস অসুস্থ ছিলাম। সংস্থার কিছু কর্মচারী এই ভুল করেছেন। যেসব ইউনিট হাসপাতালে গেছে সেগুলো আমরা ফিরিয়ে নিচ্ছি। এটি সবই ভুল বোঝাবুঝির জন্য৷'